কুষ্টিয়ায় দৌলতপুরে পৃথক হামলায় সাবেক মেম্বর সহ অন্তত ৫জন আহত হয়েছেন। আহতরা কুষ্টিয়া ও দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল রোববার ও শনিবার রাতে পৃথক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হামলাকালে গুলি ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
দৌলতপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চরসোনাতলা গ্রামের রাস্তা দিয়ে বৃদ্ধ মোজাহার উদ্দিনের মহিষের গাড়ী যাচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা ফকির সর্দারের মহিষের গাড়ী সংকীর্ণ রাস্তা অতিক্রিম করতে গিয়ে রাস্তার নীচে চলে যায়। এতে ফকির সর্দার ক্ষুব্ধ হয়ে মোজাহার উদ্দিনকে গালমন্দ করে। মোজাহার উদ্দিন গালমন্দের জবাব দিলে ফকির সর্দার ও হবি সর্দারের নেতৃত্বে তাদের ছেলে শিপন, রিপন, সাইফুল ও শরিফুলসহ ৮-১০জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ মোজাহার উদ্দিন সহ তার ছেলেদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মোজাহার উদ্দিনের ছেলে হাপিজুল (৫০), শরিফুল (৪৫), সাহাজুল (৩৭) ও পিয়ারুল (৪০) আহত হ’ন। পরে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাহাজুল ও শরিফুলকে কুষ্টিয়া হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে দৌলতপুর থানা পুলিশ সূত্র নিশ্চিকত করেছেন।
হামলার বিষয়ে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, মহিষের গাড়ী রাস্তা পার হওয়া নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪জন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত পরিবারের পক্ষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
অপরদিকে শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার জয়রামপুর বাজারে এ’শার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় সাবেক মেম্বর আব্দুল আজিজ (৭২) কে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত আব্দুল আজিজের পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা জানান, জয়রামপুর এলাকার কবিরুল ইসলামের নকল বিড়ির কারখানায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালায়। কবিরুল ইসলামের ধারণা আব্দুল আজিজের লোকজন নকল বিড়ি কারাখানার খবর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জানিয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কবিরুলের লোকজন ওইদিন রাতে আব্দুল আজিজের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। আব্দুল আজিজের চিৎকারে বাজারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে হামলাকারীরা পর পর দুই রাউন্ড ও বোমার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত সাবেক মেম্বর আব্দুল আজিজের ভাই শহিদ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করলে পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী হামলাকারী হবি (৫২) ও তার ছেলে রিংকু (২২) গ্রেফতার করেছে।
পৃথক হামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক মেম্বর আব্দুল আজিজ আহত হওয়ার ঘটনায় ২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চরের হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছবি : সংঘর্ষে আহত সাবেক মেম্বর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন