পেঁয়াজ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে বাসের মধ্যে অজ্ঞান পার্টির কবলে ১০ পেঁয়াজ চাষি। ঢাকার শ্যামবাজারে আড়তে পিঁয়াজ বিক্রি করে ফেরার পথে গাবতলী বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-নারুয়া (বালিয়াকান্দি) বাসে ওঠে ১২ পিঁয়াজ চাষি। গাবতলী টার্মিনাল থেকে সৌর্হাদ্য পরিবহনের বাসে ওঠার পর ১০ জন হকারের কাছ থেকে পিয়ারা কিনে খায়। নবীনগর আসার পর সবাই অচেতন হলে সুস্থ দু’জন সুপার ভাইজারকে জানান। এসময় সুপার ভাইজার ও ড্রাইভার এ কথা শোনার পরও বাস চালিয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত নিয়ে আসেন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে রাজবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরা হলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ডহর পাচুরিয়া গ্রামের নিকাত প্রামানিকের ছেলে রবিন, কোরবানের ছেলে সেলিম মণ্ডল, একাব্বারের ছেলে রিপন, ইসলামের ছেলে সোহেল, আলাউদ্দিনের ছেলে নুরাল, বাবর আলীর ছেলে মালেক, মানিকের ছেলে করিম মল্লিক, মাসুদ আলীর ছেলে গোলাপ সেখ, নিজয় প্রামানিকের ছেলে বিল্লাল, সোনার সেখের ছেলে রমেজ। এদের মধ্যে রমেজ সেখের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়।
সঙ্গী মালেক মণ্ডল জানান, গত শুক্রবার বহরপুরের ডহর পাচুরিয়া গ্রাম থেকে বেশি লাভের আশায় ১২ জন পিঁয়াজ চাষি দু’টি ট্রাকে নিজেদের পিঁয়াজ ট্রাক ভাড়া করে শ্যামবাজার আড়তে নিয়ে যায়। গত শনিবার সকালে ২৫ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ বিক্রি করে বাড়ি ফেরা জন্য গাবতলী বাস টার্মিনালে যায়। তারা রাজবাড়ী-নারুয়া সরাসারি সৌহাদ্য পরিবহনের বাসে ওঠে। বেলা আড়াই টায় বাস ছাড়ার আগেই বাসে বসে ঝাল মেশানো পিয়ারা খায়। এ ঘটনায় বাসের লোক জড়িত থাকতে পারে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ডা. অচিন্ত্য কুমার কীত্তনীয়া জানান, এখন পর্যন্ত কারই জ্ঞান ফেরেনি। তবে সবাই আশঙ্কামুক্ত। এদের মধ্যে একজনকে পরিবারের ইচ্ছার কারণে ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন