শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

মেনন সাহেবের দুঃখ এবং অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তরের কিছু কথা

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০৬ এএম

এই লেখাটি শুরু করেছি শনিবার, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে। শেষ হবে ২৭ মার্চ রবিবার। যেহেতু স্বাধীনতা দিবসে এই লেখাটি শুরু করেছি তাই ঠিক করেছিলাম, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর আজকের লেখাটি লিখবো। আরেকটি কারণ হলো এই যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদ্যোপান্ত নিয়ে আমার কাছে এত বেশি তথ্য, রেফারেন্স এবং ডকুমেন্ট আছে যে, ১০/২০টি কলামে সেগুলি শেষ হবে না। আমার সংগৃহীত সমস্ত তথ্য পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে হলে একটি গ্রন্থের প্রয়োজন হবে। এসব নিয়ে সাত-পাঁচ যখন ভাবছি তখন আজকের, অর্থাৎ শনিবারের ইনকিলাব হাতে এলো। ১১ পৃষ্ঠায় বক্স করে একটি খবরের প্রতি আমার দৃষ্টি আটকে গেল। খবরটির শিরোনাম, “আমি ‘নাস্তিক’ হিসাবে পরিচিত।”

খবরে বলা হয়েছে, নিজের গড়া কলেজে পড়া মুখঢাকা ছাত্রীদের দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ওই ছাত্রীদের দেখে তিনি জানতে চেয়েছেন, পাশে কি মাদরাসা আছে? বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাতে বরিশাল নগরের কাউনিয়ায় নীলু-মনু ট্রাস্ট ও পাবলিক লাইব্রেরিতে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনমিয়কালে তিনি এ কথা বলেন। মেনন বলেন, ‘আমি যখন রাস্তা দিয়ে আসছিলাম, তখন দেখি সারি সারি মেয়েরা যাচ্ছে। কিন্তু তাদের চেহারা জামা-কাপড় দেখতে পাচ্ছি না, সব আবৃত, হাতে মুজা। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, পাশে মাদরাসা আছে নাকি। কিন্তু আমাকে উত্তর দেওয়া হলো, এরা আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের মেয়ে’।

তিনি বলেন, ‘এই আবুল কালাম কলেজ আমার হাত দিয়ে তৈরি করেছি, সেই আবুল কালাম কলেজের মেয়েদের এই চেহারা। আমি তো কোনো বাঙালি মেয়ে দেখলাম না। আমি আগরপুর কলেজে গিয়ে একটা মেয়েরও চোখের ঠুলি ছাড়া কিছু দেখি নাই। বাঙালি শাড়ি পরা মেয়ে দেখলাম না। আমি এখানে (বরিশাল) রাস্তায় তাকিয়ে দেখি কতজন নারী শাড়ি পরে বের হয়। শুধু দেখলাম যারা কর্মজীবি নারী, আর আমাদের মা-বোনেরা যারা পুরোনো দিনের, তারা শাড়ি পরছেন। তাহলে বাংলাদেশ কোথায় এখন।’

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘আজ আমি বাংলাদেশকে চিনি না। আমি আমার ধর্ম পালন করি, তারপরও তো নাস্তিক বলে পরিচিত আমি’।

নিজের বাসায় আসা এক অতিথি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বাড়িতে থেকে যুদ্ধ করেছিল, সেই বাড়ির মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে আমার স্ত্রী একটি শাড়ি উপহার দিয়েছিল। শাড়িটি দেওয়ার সময় তাকে বললেন, ভাবি এই শাড়িটা নিয়ে যান। ভাবি বললেন, আমি শাড়ি পরি না, ইসলামি ড্রেস পরি। আমি বললাম, ইসলামি ড্রেস কোনটা? ড্রেসটা দেখিয়ে বলল, এই যে। আমি বললাম, এটা তো ইসলামি নয়, সৌদি নয়তো মধ্যপ্রাচ্যের ড্রেস। তবে সেসব দেশের ড্রেসও এরকম না। তবে আমরা সেই কালচার নিয়ে চলে এসেছি বাংলাদেশে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে আমাদের মেয়েরা যারা সালোয়ার-কামিজ না পরে শাড়ি পরে যেত, সেই মেয়েরা আজ এই জায়গাতে চলে গেছে। আজ জনসংখ্যার অর্ধেক দেখে বুঝতে পারছি, দেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। আজকাল ইউটিউব খুললেও এসব প্রচার ছাড়া আর কিছু দেখি না।’

রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাভাই, শায়েখ আব্দুর রহমান যখন জঙ্গি হিসেবে প্রকাশ পেল, তখন ১৯টা আন্ডার গ্রাউন্ড জঙ্গি সংগঠন প্রকাশ পেয়েছিল। যদিও এখন কয়টা জানি না। তবে নতুন নতুন নাম তো শুনছি। আর এতে আমাদের ইয়াং ছেলেরা আকৃষ্ট হচ্ছে। আগে ধারণা করতাম মাদরাসার ছেলেপেলে গেছে, এখন তো দেখি ইংরেজিতে পড়া, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছেলেমেয়েরা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যশা, আমরা অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই, যেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থাকবে না, কোনো ধর্মের প্রাধান্য থাকবে না। হ্যাঁ, আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান, কোনো সন্দেহ নেই। নামাজ-কালাম, রোজা-ঈদ, হজ্জ-জাকাত সব হবে। কিন্তু ভারতে যেমন হিন্দুত্ববাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশে আবার তার বিপরীতে ইসলামি মৌলবাদ দাঁড়াবে-এটা হবে না’।

॥দুই॥
সারাশরীর শালীন পোশাকে ঢাকা কিশোরী বা যুবতীদের দেখে মেনন সাহেবদের কেন মনে হলো যে, পাশেই কোনো মাদরাসা আছে কিনা। তাকে বলা হলো যে তারা আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের মেয়ে। তিনি স্বগতোক্তি করলেন এই বলে যে, আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর সিংহভাগ অবদান রয়েছে। সেই আবুল কালাম কলেজের মেয়েদের এই চেহারা? কোন চেহারা? কোন চেহারা দেখে তিনি এত তাজ্জব হলেন? তিনি ছাত্রীদের কোন ধরনের বেশভূষা বা ইউনিফর্ম প্রত্যাশা করেছিলেন?

বাংলাদেশের মেয়েরা হিজাব-নেকাব পরবেন, এতে এত তাজ্জব হওয়ার কী আছে? যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান, তারা যদি হিজাব পরেন তাতে বামপন্থীদের সমস্যা কোথায়? তারা যদি বোরখাও পরেন, তাতেই বা লেফটিস্টদের প্রবলেম কোথায়? আসলে তাদের সমস্যা কোথায় সেটি তারা না জানলেও বাংলাদেশের মানুষ ঠিকই জানে। তাদের আসল সমস্যা হলো, তারা মাটি দিয়ে হেঁটে বেড়ান না। তারা আকাশে উড়ে বেড়ান। মাটির সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নাই। মুখে তারা সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজম আউড়ে বেড়ালেও গরিব মানুষদের কথা নিয়ে তারা কখনও ভাবেন না। কমিউনিজমের বুলি আওড়ালেও তারা আসলে সাম্প্রদায়িক। ধর্মনিরেপেক্ষতার গালভরা বুলি কপচালেও আসলে একটি বিশেষ ধর্মের বিরোধী।

অনেক দিন আগের কথা। তখন আমি ম্যাট্রিক পাশ করে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে আই এ ক্লাসে ভর্তি হয়েছি। তার আগে বগুড়া জিলা স্কুলে যখন ক্লাস টেনে পড়ি তখন রাজনীতি তেমন না বুঝলেও ছাত্র সংগঠনগুলোর তৎপরতা দেখতাম। তখন বগুড়ায় প্রধান ছাত্র সংগঠন ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন বা ইপসু। জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট দুর্গাদাস ভট্টাচার্য্য এবং সম্পাদক রহিম চৌধুরী। দুই বছর আইএ পড়েছি। দুই বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে অনার্স ক্লাসে ভর্তি হয়েছি। এই যে দুই বছর বগুড়া কলেজে পড়লাম, এই দুই বছর ছাত্র ইউনিয়নকে জনগণের দাবি বা ছাত্রদের দাবি নিয়ে কোনো আন্দোলন তো দূরের কথা, বগুড়ার জনদুর্ভোগ বা বগুড়া কলেজের ছাত্রদের সমস্যা নিয়েও কোনো সভা-সমিতি করতে দেখিনি। সব সময় তাদের মুখে ছিল সাম্প্রদায়িক সমস্যা।

অথচ তখন বগুড়া শহর তো দূরের কথা, সমগ্র বগুড়া জেলায় পারফেক্ট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছিল। হিন্দু মুসলমান সমস্যা বলে কোনো সমস্যাই ছিল না। ছাত্র ইউনিয়নের সেক্রেটারি রহিম চৌধুরী যে মেয়েকে বিয়ে করেছিল, সে ছিল হিন্দু। নাম রত্না চৌধুরী। বিয়ের পরেও সে ধর্মান্তরিত হয়নি। এটা নিয়েও কোনো সমস্যা হয়নি। বরং আমরা রত্নাকে খুশি মনে ‘ভাবী’ হিসাবে বরণ করে নিয়েছিলাম। তখন আজিজুল হক কলেজ ছিল বগুড়ার একমাত্র কলেজ। অথচ, সেই কলেজে কোনো ছাত্রাবাস ছিল না। গাজীউল হক ভাষা সৈনিক। পীরের সন্তান। বাড়ি বগুড়া। যখন বগুড়া যেতেন তখন নেজামে ইসলাম পার্টির নেতা মওলানা আতাহার আলীর বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তৃতা দিতেন। যুক্তফ্রন্টের ৪ শীর্ষ নেতার অন্যতম ছিলেন এই মওলানা আতাহার আলী। গাজীউল হক তার বক্তৃতায় বলতেন, মওলানা আতাহার আলী বগুড়ায় এলে তাকে অক্ষত দেহে ঢাকা ফেরৎ যেতে দেওয়া হবে না। সেই মিটিংয়েই তাঁকে আজিজুল হক কলেজে ছাত্রাবাস প্রতিষ্ঠার দাবি সমর্থন করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান। আমাদের কলেজে তখন কিন্তু কো-এডুকেশন।

॥তিন॥
এগুলো তো গেল বগুড়ার কথা। ঢাকার দিকে নজর দিন। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। খুব ঘটা করে তার কথা বলেন বাম দলগুলো। তাকে তারা বলেন অগ্নিকন্যা। তাকে নিয়ে ঢাকায় একটি সিনেমাও বানানো হচ্ছে। একটি ভিডিওতে বলা হয়েছে, প্রীতিলতা মাস্টারদা সূর্য সেনের অনুপ্রেরণায় বৃটিশদের বিরুদ্ধে অংশ নেন বিপ্লবে। ১৯৩২ সালে পাহাড়তলী ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণের দিন আহত হয়ে ধরা পড়েন। ধরা পড়ার পর সেবন করেন সায়ানাইড বিষ।

আরেক জনের কথা বামপন্থীরা বলেন এবং দলীয়ভাবে তিনি এবং তার সহযোগীদের ওপর আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। তিনি হলেন পুলিন বিহারী দাস। ১৯৪৯ সালে তিনি পরলোক গমন করেন। বিপিন চন্দ্রপাল ও প্রমথ নাথ মিত্রের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পুলিন বিহারী দাস গঠন করেন অনুশীলন সমিতি। ১৯০৮ সালে পুলিন বিহারীকে ভূপেশ নাগ, শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী, কৃষ্ণ কুমার মল্লিক, অশ্বীনি দত্ত সহযোগে গ্রেফতার করা হয়। পরে তারা মুক্তি পান। ১৯১০ সালে অনুশীলন সমিতির ৯০ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯১৯ সালে তাদের অধিকাংশকেই মুক্তি দেওয়া হয়।

‘বাংলাপিডিয়ার’ লেখা অনুযায়ী, ‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ ও অরবিন্দ ঘোষ কর্তৃক বিকাশিত অনুশীলন সমিতির এ ধারণা হিন্দু ধর্মের শাক্ত মতবাদের দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাঁরা হিন্দুদের আত্মিক, শারীরিক বুদ্ধিতে বলিষ্ঠ হওয়ার পরামর্শ দেন।’ বাংলাপিডিয়ায় আরো বলা হয়, ‘যেসব ঘটনাবলীর কারণে সন্ত্রাসবাদ হঠাৎ করে শুরু হয়েছিল সেগুলি হলো লর্ড কার্জনের অপ্রিয় বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)। ১৯০৫ সালে ঢাকায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বিপিন চন্দ্র পালের জ্বালাময়ী বক্তৃতার পর পূর্ববঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিপিন পালের বক্তৃতার পর পুলিন বিহারী দাসের নেতৃত্বে ৮০ জন হিন্দু যুবক ১৯০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুশীলন সমিতি গঠন করে। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল মিসেস ও মিস কেনেডিকে হত্যার কারণে প্রফুল্ল চাকি ধরা না দিয়ে আত্মহত্যা করেন এবং ক্ষুদিরাম বসু ধরা পড়ার পর বিচারে তার ফাঁসি হয়।’

বাংলাপিডিয়ার রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ‘হিন্দু আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মের প্রতি আগ্রহ অনুশীলন সমিতিকে গতিশীল শক্তি প্রদান করে। সদস্যদের অধ্যায়ন তালিকায় প্রধানত হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীভিত্তিক রচনাই বেশি ছিল। তাদের জন্য সুপারিশকৃত বইগুলির মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দের গ্রন্থসমূহকে প্রথম স্থান দেওয়া হয়েছে। অনুশীলন সমিতিতে কেউ যখন ভর্তি হতো তখন শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য গীতা ব্যবহার করা হতো। এ বিশেষ কারণেই কোনো মুসলমান অনুশীলন সমিতিতে যোগ দিতে পারতো না।’

অনুশীলন সমিতিতে মতদ্বৈধতার কারণে ১৯০৬ সালে গঠিত হয় ‘যুগান্তর সমিতি’। এটিও অনুশীলন সমিতির মতো ছিল গুপ্ত সন্ত্রাসী সংগঠন। এর নেতৃত্বে ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ, বারিন্দ্র ঘোষ, উল্লাস কর দত্ত, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকি প্রমুখ। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন যুগান্তরের সদস্য। মাস্টারদা বলে খ্যাত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের নায়ক সূর্য সেনও যুগান্তরের নেতা ছিলেন।

॥চার॥
এতক্ষণ ধরে যেসব কথা হলো, সেসব আমার বা ইনকিলাবের কথা নয়। বই পুস্তকে চাইলেই এসব তথ্য পাওয়া যায়। তবে আমি শতকরা একশত ভাগ অথেনটিসিটির জন্য উইকিপিডিয়া এবং বাংলাপিডিয়া থেকে এসব তথ্য নিয়েছি। এসব তথ্য থেকে দেখা যায় যে, সূর্য সেন বা প্রীতিলতা অনুশীলন/যুগান্তরের সদস্য ছিলেন। তারা বাংলাদেশের জন্য কোনো সংগ্রাম করেননি। আর মুসলমানদের জন্য তো নয়ই। কারণ, মুসলমানদের জন্য তো অনুশীলন এবং যুগান্তরের সদস্য হওয়া নিষিদ্ধ ছিল।

মেনন সাহেবদের মতো বামপন্থীদের নিজস্ব কোনো সত্ত্বা নাই। তারা পরজীবী। মনি সিং এবং মোজাফ্ফর আহমদরা তো আওয়ামী লীগের বি-টিম ছিল। অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী তো এখন তুষার কন্যা হয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের কোলে চড়ে লাল ঝান্ডার মেনন হলেন পুঁজিবাদের মন্ত্রী। আর তাঁর আর এক কমরেড বাদশা হলেন এমপি। তাদের লাল ঝান্ডা তো শুধু মৌলবাদ নাম দিয়ে শ্বাশত সত্য ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে ক্রুসেডে রত। নরেন্দ্র মোদির চরম হিন্দুত্ব তাদের নজরেই আসে না। ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত কপালে লাল পট্টিওয়ালাদের চোখে পড়ে যত্রতত্র সেলোয়ার, কামিজ, ওড়না এবং হিজাব।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (13)
Md Alamgir ২৯ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৮ এএম says : 0
মা বোনদের পরিহিত কাপড়ের মধ্যে উনি বাংলাদেশের ঐতিহ্য খোঁজ করেন। কিন্তু ভারতীয় সিরিয়াল দিয়ে বাংলাদেশ সয়লাব তখন উনি ঐতিহ্য খোঁজেন না। মা বোনদের শরীর সম্পূর্ণ আবৃত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক আর সেটা যেই কাপড়ই হোক না কেন? এরা শুধু ভাবে দেশ তাদের ব্যক্তিগত প্রপার্টি। আরে আল্লাহর যমীন, আকাশ, বাতাস আর এরা ভাবে টা কী?
Total Reply(0)
Md AlamgirSaiful Islam Saif ২৯ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৯ এএম says : 0
উনার আক্ষেপটা হলো কেন মেয়েদের মুখ ও পোষাক দেখতে পেলোনা? উনি সৌদি আরব আর মধ্য পাচ্যের পোষাকের কথা বললেন পাশ্চাত্যের পোষাকের কথা কেন বললেন না? শার্ট প্যান্ট কি বাঙালি পোষাক? আর ভারতের উগ্র হিন্দুতবাদীর পথেয় হাটছেন উনি। নিজেকে সৃজনশীল ভাবেন কিন্তু উদারতা উনার মধ্যে নেই।
Total Reply(0)
Masud Al Habibi ২৯ মার্চ, ২০২২, ৬:৫৯ এএম says : 0
এই নিরক্ষর গোষ্ঠীর এমন দুঃসাহস মেনে নেওয়া যায় না! নারীদের বিপথগামী করে গড়ে তোলা নারীবাদী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যুগোপযোগী। একজন নারী পর্দায় থাকতে চায়, সে চায়না তার চেহারা ভিন্ন কোন পুরুষ দেখুক। এটা কি তার অপরাধ? এই নারীবাদী গোষ্ঠীর প্রতিবাদ শুধুই কি ইসলামের হুকুম আহকাম নিয়ে?
Total Reply(0)
Mohammad Dalower ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০০ এএম says : 0
শিয়াল চায় মুরগির স্বাধীনতা, বদ্ধ খুপরির মধ্যে মুরগী কেন রাতে আটকা থাকবে? বাড়ির চারপাশের ঝোড় ঝাপে মুরগী ঘুরে বেড়াবে,আর শিয়াল মামা তার ইচ্ছে মত মুরগীটাকে ছিড়েখুঁড়ে খাবে.........
Total Reply(0)
একটু ওন্য রকম ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০০ এএম says : 0
লেখা গুলা পড়ে বুঝলাম মানুষিক অসুস্থ মেনন। পাবনার ঠিকানা হাতে ধরিয়ে দেয়া হোক।
Total Reply(0)
মাহমুদুল হাসান ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০০ এএম says : 0
যখন মেয়েরা প্যান্ট পড়ে এবং থ্রিপিছ বাদ দিয়ে টুপিছ পড়ে তখন আপনার বাঙ্গালি সংস্কৃতি শাড়ি পড়ার রীতি কোথায় থাকে।
Total Reply(0)
M A Basit Ashraf ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০০ এএম says : 0
যারা মা বোনদেরকে পণ্য সামগ্রীর মতো মনে করে, ভোগের বস্তু মনে করে শুধুমাত্র তারা-ই এইরকম জগন্য কথা বলতে পারে। মেনন তো লেলীন, ষ্টালিন ও মাওসেতুংয়ের উত্তরসূরী, তাই......
Total Reply(0)
Md Nurul Hoque ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০১ এএম says : 0
আফসোস! এই জাতির জ্ঞানপাপী পথভ্রষ্টদের জন্য।
Total Reply(0)
মুহাম্মদ তাহির শাহ্ ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০১ এএম says : 0
কাকু মনের খোরাক,চোখের প্রশান্তি কমে যাচ্ছে।তিন পা কবরে অবশিষ্ট পা খানার দিকে তাকিয়ে হলে ও বদমাইশি মনোভাব একটু পরিহার করুন।লুচির ও তো সীমাবদ্ধতা আছে।
Total Reply(0)
Md Ariful Islam ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০২ এএম says : 0
মির্জা ফকরুল যদি মেয়েদের ছোটছোট পোষাক নিয়ে কিছু বলতো তাহলে বাংলাদেশের সকল নারীবাদীরা একযোগে রাস্তায় নেমে আসতো। একজন মেয়ে কি পরবে সেটা তার নিজস্ব বিষয়, এটাতো আপনাদের মতো রাশেদ খানদের বানানো থিউরিই, বাঙালি মেয়েরা বোরকা পরবে নাকি অন্যকিছু পরবে সেটা ঠিক করে দেওয়ার আপনি কে। আপনি বললেন বোরকা বাঙালি পোষাক না। আচ্ছা আপনি যে প্যান্ট শার্ট পরেন সেটা কি বাঙালি পোষাক আপনি প্যান্ট শার্ট পরলে কি আপনার বাঙালিত্ব নষ্ট হয়না। আপনার ফ্যামিলির মেয়েরা যখন সেলুয়ার কামিস,প্যান্ট ও অন্যান্য আল্টা মডার্ণ পশ্চিমা পোষাক পরিধান করে তখন কি আপনার জাত নষ্ট হয়না। শুধু ইসলামিক পোষাকেই আপনার বাঙালিত্ব নষ্ট করে।
Total Reply(0)
MD Mizanur Rahman Sumon ২৯ মার্চ, ২০২২, ৭:০৩ এএম says : 0
মধ্যপ্রাচ্যের পোশাকে যদি বাঙালিয়ানা শিকেয় ওঠে, তাহলে মেননরা কোন দুঃখে পাশ্চাত্যের প্যান্ট শার্ট কিংবা পাকিস্তান, আফগানিস্তানের পায়জামা পাঞ্জাবি পরিধান করে? মেননের কেবল নেংটি পরিধান করা উচিৎ। কারণ লুঙ্গি তো এসেছে বার্মা থেকে।
Total Reply(0)
Mizanur Rahman ২৯ মার্চ, ২০২২, ৮:৫৬ এএম says : 0
উনাকে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করেন যে ধর্মীয় পোশাক পড়লে উনি বাঙালী আর শাড়ি নিয়ে চিন্তিত হন। আর যখন উনার সামনে পশ্চিমা অর্ধ-উলঙ্গ পোশাক পড়ে ঘুরাফেরা করে তখন উনি কি ভাবেন, বাঙালী আর শাড়ি নিয়ে চিন্তিত হন না? তখন শাড়ী আর বাঙালির কথা মনে পড়ে না?
Total Reply(0)
Md.Shamsuzzaman ২৯ মার্চ, ২০২২, ১১:৩৫ পিএম says : 0
লেখা গুলা পড়ে বুঝলাম মানুষিক অসুস্থ মেনন - কাকু মনের খোরাক,চোখের প্রশান্তি কমে যাচ্ছে।তিন পা কবরে অবশিষ্ট পা খানার দিকে তাকিয়ে হলে ও বদমাইশি মনোভাব একটু পরিহার করুন।লুচির ও তো সীমাবদ্ধতা আছে।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন