নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফাইলেরিয়া অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল উত্তরাঞ্চলে গোদ রোগ চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশ থেকে দুই লাখ রোগি এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, উত্তর জনপদের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল ফাইলেরিয়া রোগ প্রবণ এলাকা। কয়েক প্রজাতির মশার কামড়ে রোগটির উৎপত্তি। এটি সংক্রমণকও। এতে আক্রান্ত হলে রোগির হাত-পাসহ স্পর্শকাতর স্থানগুলো অস্বাভাবিক ফুলে যায়। অতীতে এ রোগের কোনো চিকিৎসা ছিল না। পরে ২০০২ সালে ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইম্যুনোলজি (আইএসিআইবি) নামের একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সৈয়দপুর শহরের উপকন্ঠে কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ নামক স্থানে ওই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম হোসেনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠে হাসপাতালটি।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন মানুষজন সেবা নিতে। বিশ্বের প্রথম এই ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি গড়ে ওঠে। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছে ৭০ শতাংশ জমির ওপর হাসপাতালটি মূলত ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগিদের জন্য।
এদিকে আইএসিআইবি ২০১৯ সালে এক চুক্তিপত্রের মাধ্যমে হাসপাতালটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনকে (বিপিডিএ)। বর্তমানে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে সৈয়দপুর ফাইলেরিয়া ও জেনারেল হাসপাতালটি। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মোরসালিন খান শুভ জানান, হাসপাতালটিতে নয়জন চিকিৎসক রয়েছেন। এর কর্মী সংখ্যা ৭০ জন। বর্তমানে হার্নিয়াসহ সব ধরণের অস্ত্রোপচার হচ্ছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা সাশ্রয়ী ফি গ্রহণ করে থাকি। এছাড়াও গরিব রোগিদের দেওয়া হয় বিনামূল্যে চিকিৎসা। আমাদের রোগ নির্ণয় ল্যবরেটরী ও অপারেশন থিয়েটার অত্যন্ত আধুনিক। সার্বক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স সুবিধাও রয়েছে। ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির বহি:র্বিভাগে দৈনিক কমপক্ষে ৩০০ রোগির সেবা দেওয়া হয়। আমরা ফাইলেরিয়া নির্মূলে অঙ্গীকারবদ্ধ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন