মীরসরাইয়ে মুহুরী প্রজেক্ট বেঁড়ি বাঁধের মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মাটি বিক্রির খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন। পরে এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করতে চাইলে থানার ওসি মামলা না নিয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছেন বলে অভিযোগ ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরন্নবী।
জানা গেছে, মুহুরী প্রজেক্ট বাজার থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার বেঁড়ি বাঁধটি পশ্চিম দিকে ফেনীর নদীর উপর থাকা ৪০ দরজা সুইচ গেইট পর্যন্ত চলে যায়। বাঁধটি বর্তমানে মুহুরী প্রজেক্ট সড়ক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। মুহুরী প্রজেক্ট বাজার থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার সামনে সড়কের উত্তর পাশে বাঁধের মাটি কেটে গত কয়েকদিন ধরে মাটি বিক্রি করে স্থানীয় মো. পারভেজ, মো. রিয়াদ, মো. ফরহাদ।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের পাশের ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্ত পর্যন্ত মাটি কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। মাটি নেওয়া জন্য ট্রাক তুলতে বাঁধের পাশে দেওয়া ৪টি নিরাপত্তা পিলারও ভেঙে ফেলা হয়েছে। সংবাদ কর্মীরা আসছে খবর পেয়ে মাটি কাটার স্থান থেকে স্কেভেটর ও ট্রাক সরিয়ে নিয়েছে মাটি কাটার দায়িত্বে থাকা লোকজন।
মো.ফরহাদ বলেন, প্রজেক্ট এলাকা বাঁধের উপর দিয়ে দিঘীতে পানি দেওয়া নিয়ে সুইচ গেইট এলাকার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। কিন্তু মাটি কাটার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরন্নবী জানান, আমাদের সহকারী উপ প্রকৌশলী মো. মানিক মিয়া বাদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু থানার ওসি অভিযোগটি মামলা হিসেবে না নিয়ে সাধারণ ডায়েরী করে রাখেন। বাঁধের মাটি কেটে নেওয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমে বাঁধটি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি নুর হোসেন মামুন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রজেক্ট এলাকার বেঁড়ি বাঁধের মাটি কাটার বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে।
তদন্ত করে মাটি কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন