চাদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জনৈকা নাবালিকা দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষিতা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ৩১ মার্চ এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সানকিভাঙ্গা গ্রামের জনৈক দেলোয়ার হোসেনের স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ের সাথে সানকিভাঙ্গা বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাহবুব (৩৫) এর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন লোভ লালসা ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কৌশলে প্রায় সাত মাস ধরে মসজিদের ইমাম ধর্ষণ করে আসছে। এতে করে ওই স্কুুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
২৭ মার্চ ওই মেয়ের শরীরের গঠন অন্তঃসত্ত্বা দেখা দেয়ায় পরিবার থেকে চাপ দিলে সে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাহবুবের নাম বলে। এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাহবুব আত্ম গোপন করে। তার বাড়ী পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জে জেলায়।
কিশোরী জানায়, বিভিন্ন সময় মসজিদ ইমাম (মাহবুব) আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত। আমি বাঁধা দিতাম, সে বাঁধা মানতো না। সে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসব কথা কোথাও জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করার কথা বলে। তাই আমি ভয়ে কোথাও জানাতে সাহস পাইনি। সর্বশেষ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে যৌন মিলন করে।
কিশোরীর মা জানান, এই বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হয়েছে, লজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পাড়ি না। আমরা গরীব হওয়ার সুযোগে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মেয়ের সর্বনাশকারী মসজিদের ইমাম মাহবুবের বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
ধর্ষক মাহবুব পলাতক থাকায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন সেলিম মিয়া মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি শুনে খুবই মর্মাহত। যদি অভিযোগ আসে তাহলে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিব।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাহাজাহান কামাল বলেন, ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ধর্ষককে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন