কোলেস্টেরল কমানোর ঔষধকে স্ট্যাটিন বলা হয়। স্ট্যাটিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব কম। স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহৃত হয় এলডিএল কোলেস্টেরল কমানোর জন্য। তবে রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ বেশী থাকলে ফেনোফাইব্রেট জাতীয় ঔষধ সেবন করতে হবে। গবেষণায় দেখা যায় যে, স্ট্যাটিন হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি শতকরা ২৫ ভাগ কমিয়ে দেয় এবং হার্টের রোগীদের সাহায্য করে যেন করোনারী স্টেন্ট বা রিং সংযোজন করা না লাগে। তবে স্বল্প মাত্রায় হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে স্ট্যাটিন এ ধরণের সহায়তা করতে পারে। স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মাঝে মাংশপেশীর ব্যথা, দুর্বলতা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ সেবন করবেন না। দীর্ঘদিন যাবৎ স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ সেবন করলে আপনার রক্তের সুগার বৃদ্ধি পেতে পারে অর্থ্যাৎ, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সামান্য বাড়াতে পারে। স্ট্যাটিন গ্রহণ করছেন তাদের সামান্য পরিমাণে রক্তের সুগার বৃদ্ধি পেতে পারে। সামান্য পরিমাণে রক্তের সুগার বৃদ্ধি পেলে অহেতুক দুশ্চিন্তা করবেন না। স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ বিশেষ করে এটোরভাসটাটিন জাতীয় ঔষধ সেবনকালে অতিরিক্ত আঙ্গুর খাবেন না। স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ সেবনকালে অতিরিক্ত আঙ্গুর ক্রমাগত খেলে শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধের সাথে এন্টি-ডায়াবেটিক ঔষধ সেবন করতে হলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, কিছু, এন্টি-ডায়াবেটিক ঔষধের সাথে স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধের ড্রাগ ইন্টার্যাকশন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অর্থ্যাৎ একজন ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ আপনাকে যে পরামর্শ দিবেন তা অনুসরণ করবেন।
তবে স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ প্রদাহের বিরুদ্ধে সাময়িকভাবে হলেও কাজ করে। তাই যারা হৃদরোগে আক্রান্ত তারা করোনাকালীন সময়ে স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ সেবন করে যাবেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। কারণ করোনা ভাইরাস হার্টে সংক্রমিত হলে প্রদাহের সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্যাটিন জাতীয় ঔষধ প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন