রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আবার কক্সবাজার আসব, সকলের সাথে দেখা হবে- প্রধানমন্ত্রী

আঁন্তু তোঁয়ারাল্লায় পেট পুরের

কক্সবাজার থেকে শামসুল হক শারেক | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:৪১ পিএম

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালুচরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এক জমকালো উন্নয়ন উৎসব। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গভবন থেকে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারে আসার আমন্ত্রণ পেয়ে বলেছেন, তিনি কক্সবাজারে আসব। কক্সবাজার এর আঞ্চলিক ভাষয়া তিনি বলেছেন, 'আঁন্তু তোঁয়ারাল্লায় পেট পুরের।' আবার কক্সবাজার আসব দেখা হবে সকলের সাথে। এ কথার মানে হচ্ছে, 'তোমাদের জন্য আমার মন কাঁদছে।'
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টের বালুচরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এই জমকালো উন্নয়ন উৎসব। উন্নয়নের নতুন জোয়ার, বদলে যাওয়া কক্সবাজার' শীর্ষক উৎসবে প্রধান অতিথি হিসাবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অনুষ্ঠানের কক্সবাজার প্রান্তে বক্তৃতা দিতে উঠে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে দলের ধর্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা প্রধানমন্ত্রীকে কক্সবাজারে এসে স্বচক্ষে এখানকার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দেখার আমন্ত্রণ জানান। প্রতি উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা তিনি তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ারে, বদলে যাওয়া কক্সবাজার’ উৎসবে অতীত, বর্তমান ও সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই কক্সবাজারে যাওয়া ছিল তাঁর নিয়মিত বিষয়। তিনি বলেন, যদিও আমরা আমার বাবাকে বেশি পাইনি, বেশির ভাগ সময়তো তিনি জেলেই থাকতেন। জেলখানা থেকে যখনই তিনি মুক্তি পেতেন প্রতিবারই শীতের সময় আমাদেরকে কক্সবাজার নিয়ে যেতেন। সেই ৬২ সালে প্রথম যাই।
ওখানকার মানুষগুলোর কোন জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা ছিল না। নিতান্ত দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল। সেই কক্সবাজারকে উন্নত করাই ছিল আমার স্বপ্ন। যা আজ বাস্তবায়নের পথে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তখন সেখানে কি ছিল? বিশাল বালুকাময় এবং বিশ্বের সব থেকে বড় সমুদ্র সৈকত। ১২৪ কিলোমিটার সৈকত যা পৃথিবীতে বিরল। এতো দীর্ঘ বালুকাবেলাসহ দীর্ঘ সৈকত আর কোথাও নেই। যা কক্সবাজারে আছে।
তখনকার অবকাঠামোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা যখন কক্সবাজার যেতাম, ছোট ছোট কটেজ ছিল। সেই কটেজ ভাড়া করে থাকতে হতো। হোটেল সায়মান নামের একটি মাত্র হোটেল ছিল।এছাড়া বলতে গেলে আর কোন কিছু ছিলই না। এরপর ১৯৮১ সালে আমি যখন স্বদেশে ফিরে আসি, আমার ছেলেমেয়ে স্কুল থেকে এলেই কক্সবাজারে বেড়াতে যেতাম।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি বদরখালীতে চিংড়ি, লবণ চাষীদের অধিকার নিয়ে সম্মেলন করেছি। কুতুবদিয়া-মহেশখালী ঘুরেছি। সেন্টমার্টিন দ্বীপ, ইনানী, উখিয়াসহ এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আমি যাইনি। উখিয়াতে তো আমার আব্বার সাথেও গিয়েছি। উখিয়ার ডাকবাংলোতে আমরা ছিলাম।”
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “কক্সবাজার আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটা আইন করেছিলেন। যেখানে আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকারটা নিশ্চিত করে গিয়েছিলেন। দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে মিয়ানমার অপরদিকে ভারত। জাতির পিতার যে আইন তা বাস্তবায়ন করার কোন পদক্ষেপ ৭৫ সালের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা নেয়নি। কেন নেয়নি সেটাই প্রশ্ন।

“তারা এত ক্ষমতাধর ছিল যে, এতবড় একটা সম্পদ সেই সম্পদের অধিকার আদায় করার পদক্ষেপটুকু নেয়নি।”
জ্বালানী ও বিদ্যুৎখাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা সমস্ত গ্যাস ফিল্ডগুলো ক্রয় করে যান। আমাদের যে সংবিধান দিয়েছেন সেখানে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে পারে সে ব্যবস্থাটা তিনি রেখেছেন।”
“পাশাপাশি অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এই সংবিধানে বর্ণিত ছিল। ৭৫ এর পরবতীর্ ২১টা বছর আমাদের অন্ধকারে জীবন কাটে। বার বার আঘাত এসেছে, বাধা এসেছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন ১৯৯৬ সালে সব বাঁধা অতিক্রম করে ক্ষমতায় আসি, তখন বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে শুরু করলাম। ৯৭ সালে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল, সেই ঘূর্ণিঝড়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৭০টা ফ্যামেলিকে পেয়েছিলাম, যাদের সব ভেসে গিয়েছিল। আমাদের ওখানকার এক আওয়ামী লীগ নেতা জমি দেয়, আমরা সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর করে বসবাস করতে দিই।”
তিনি ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, “৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা নিশ্চয় মনে আছে কক্সবাজারবাসীর। সমস্ত এলাকা বিধ্বস্ত হয়েছিল। যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা ছিল না। পাঁয়ে হেঁটে হেঁটে প্রতিটি দ্বীপ অঞ্চলে আমরা যাই। চট্টগ্রামের বাঁশখালী-আনোয়ারা থেকে শুরু করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বদরখালীসহ সমস্ত এলাকায় আমরা গিয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।”
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “মোস্তফা (এড. সিরাজুল মোস্তফা) একটা স্পিডবোট যোগাড় করেছিলেন। ত্রাণ সামগ্রী গ্রুপ করে ভাগ করে দিতাম। তখনকার সরকার ছিল বিএনপি। খালেদা জিয়ার ঘুমই ভাঙেনি বিপদ বাংলাদেশের ওপর এসেছে।”
“তখন থেকে লক্ষ্য ছিল, কক্সবাজার এত বড় সম্পদ আমাদের, এটাকে কাজে লাগাতে হবে। কক্সবাজারবাসীর জীবনের পরিবর্তন আনতে হবে। বিশাল সমুদ্রের সম্পদ সেই সম্পদ আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমরা কাজে লাগাবো।”

প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, “আজকে কক্সবাজার ঘিরে ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করেছি। কক্সবাজারের সাথে সমগ্র বাংলাদেশের যোগাযোগ হয় সেই ব্যবস্থাও করে দিচ্ছি। এখানে আন্তর্জাতিকমানের এয়াপোর্টই শুধু হচ্ছে না। ঢাকা, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশালসহ যেখানে এয়ারপোর্ট আছে সেখানের সাথে যাথে কক্সবাজারের যোগাযোগ হয় সেই ব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে নেব। এই বিমানবন্দর হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর, সর্বশ্রেষ্ঠ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কক্সবাজার। এই কক্সবাজারই প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে যাওয়ার সেতুবন্ধন রচনা করবে। এখান থেকেই রিফুইলিং হবে। পর্যটকদের যেমন আকর্ষণ করবে তেমনি সকল বিমান রিফুইলিং করেই তারা যাবে। সেভাবে আমরা এ অঞ্চলটা গড়ে তোলতে চাই।”

মহেশখালীতে বিদ্যুৎপ্রকল্প, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ মেগা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মহেশখালীর মানুষের লবণ, চিংড়ি চাষ এবং মাছধরা ছাড়া কিছুই ছিল না। আজকে সেই অঞ্চল সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ঘর তৈরি করা, কাজের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। চাষীরা যাতে আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষ করতে পারে সেই ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি।”

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে যারা ঘরবাড়ি হারিয়ে বস্তি নিয়েছিল তাদের জন্য খুরুশকুলে ফ্ল্যাট বাড়ি তৈরী করে দিচ্ছি। পাশাপাশি একটি আধুনিক শুটকিপল্লীও করে দেব। যেটি মানুষ দেখতে যাবে।”
পর্যটনশিল্পের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, টেকনাফ সাবরাং-এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। বিশাল সমুদ্র সৈকতকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণ করতে

পর্যটনশিল্পের চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “সাবরাংয়ের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। বিশাল সমুদ্র সৈকতকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের পর্যটকদের জন্য যেমন ব্যবস্থা থাকবে, তেমনি বিদেশী পর্যটকদের জন্য আমরা বিশেষ এলাকা পর্যটন কেন্দ্র করে দেব। যেখানে বিদেশীরা তাদের মতো আসতে পারবে। আমরা কয়েকটি জায়গা সুনির্দিষ্ট করেছি, সেখানে আমরা উন্নয়নটা করে দেব।”
“আমাদের সোনাদিয়া চমৎকার একটা দ্বীপ। সেখানে ইকোপার্ক করে দেব। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উন্নত হবে। কক্সবাজারের কোন অংশ বাদ যাবে না।”
প্রধানমন্ত্রী সামগ্রিক যোগাযোগের পরিবর্তনের চিত্রও তুলে ধরেছেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা যখন মেরিন ড্রাইভের কাজ প্রথমবার শুরু করেছিলাম, সেই মেরিন ড্রাইভ করে করে দিয়েছি। মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজার থেকে মিরসরাই পর্যন্ত হবে। এটি আনোয়ারা, বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি সমুদ্রপাড় দিয়ে তৈরী করব। কিছু কিছু অংশে কাজ হয়েছে বাকী অংশটাও করে দেব।”

ভবিষ্যতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক টুর্ণামেন্ট আয়োজনের প্রতিশ্রম্নতিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক যত টুর্ণামেন্ট এখানেই যাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে এ জন্য ফুটবল, হকি, ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি বিরাট কনভেশন সেন্টারও হবে। আন্তর্জাতিক যত অনুষ্ঠান কক্সবাজারে যেন করতে পারি যেভাবেই আমরা এগোচ্ছি। এটা ঘিরে বাংলাদেশের উন্নয়ন আরো গতিশীল হবে। আন্তর্জাতিকভাবে মর্যাদাশীল হবে।”
রেললাইনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “দীর্ঘদিনের একটা দাবি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হয়ে ঘুনধুম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। আধুনিক রেলস্টেশন হয়ে যাচ্ছে। যা কিছু হচ্ছে অত্যন্ত আধুনিক। কক্সবাজারের মানুষের যাতে আর কোন দুঃখ না থাকে। একবার কক্সবাজার আসব, সকলের সঙ্গে আবার দেখা হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “কক্সবাজার দীর্ঘদিন অবহেলিত একটি এলাকা ছিল। সেই এলাকায় এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। বাজেটের বিশাল অঙ্কের টাকা আমরা এখানে ব্যয় করছি। সেটা এই কারণে, আমি নিজে দেখেছি সেই ছোট বেলা থেকে। এই অঞ্চলের মানুষের দুঃখ, কষ্ট। সমগ্র বাংলাদেশব্যাপী উন্নয়ন করছি কিন্তু এই জায়গাটা আধুনিক একটা নগর গড়ে তোলা আমার স্বপ্ন।”

“আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত করেছি, শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। কোন মানুষ গৃহহারা থাকবে না। আমার বাবা সারাটা জীবন এদেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। বাবার কাছ থেকে যেভাবে বর্ণনা শুনতাম, যেভাবে তিনি বাংলাদেশকে উন্নত করবেন ঠিক সেই কাজগুলো করে যাওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। তারই সুফল আজ দেশবাসী পাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”

এর আগে বিকেলে চারটায় সৈকতে নামে মানুষের স্রোত। আকাশে তখন উড়ছিল রঙবেরঙে ঘুড়ি। সূর্য পশ্চিমের নীল সাগরে ডুব দিতেই লোকারণ্য হয়ে উঠে সৈকতের বালিয়াড়ি।

এই আয়োজনের শুরুটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শুর হয়েছিল সকাল নয়টায় চলে দেড়টা পর্যন্ত। তবে মূল আকর্ষণ ছিল সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ভাচুর্য়ালি অনুষ্ঠানে যোগদানের জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত। এরপর মুখরিত হয়ে উঠে জয় বাংলা শ্লোগানে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের স্বাগত বক্তব্যের পরপরই। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ডা. আহমদ কায়কাউস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বেসামরিক বিমান ও পযর্টন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, জ্বালানি খনিজ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

অতিথিদের বক্তব্যের পর উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থাপনায় থাকা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আসার আমন্ত্রণ জানালে, তিনি তাঁর উদ্দেশ্য বলেন, “তোঁয়ার লায় আঁত্তুন পেট পুরের।”
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর আতশবাজির ঝলক ও দেশ বরেণ্য শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল জমকালো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন