খুলনায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে চালককে আহত করার ঘটনায় দুই মাদরাসা ছাত্রকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৭ টায় খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস (বেনাপোল কমিউটার) ট্রেনে তারা পাথর নিক্ষেপ করে। পুলিশ ও এলাকাবাসী তাদের আটক করে। পাথরের আঘাতে ট্রেন চালক গাজী মারুফ আহত হন। এ ঘটনার পর জিআরপি তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে।
আটককৃতরা হচ্ছে- খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল এলাকার আদর্শ নুরানীয়া হাফেজিয়া মাদরাসার হেফজ শাখার শিক্ষার্থী ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া গ্রামের মো. রাকিব হোসেনের ছেলে মো. শামীমুল হোসেন সিয়াম (১৪) ও গোপালগঞ্জ জেলার কাজলিয়া গ্রামের কাজল শেখের ছেলে সাজ্জাত শেখ (১৩)।
খুলনা জিআরপি অফিসার ইনচার্জ মোল্লা খবীর আহমেদ বলেন, খুলনা থেকে বেনাপোলগামী বেতনা এক্সপ্রেস (বেনাপোল কমিউটার) সকাল পৌনে সাতটার দিকে খুলনা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সকাল সোয়া সাতটার দিকে ট্রেনটি খানজাহান আলী থানাধীন যোগীপোল মাদরাসার সামনে পৌঁছালে কে বা কারা ট্রেনকে লক্ষ্য করে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। পাথরের আঘাতে ট্রেনের চালক গাজী মারুফ আহত হন। পাথরের আঘাতে তার ঠোট ও মুখ ফেটে রক্ত বের হয়। সাথে সাথে ট্রেন থামিয়ে দেন তিনি। এরপর রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনস্থালে পৌঁছে মাদরাসা ছাত্র সিয়াম ও সাজ্জাদকে আটক করে।
এ ঘটনায় খুলনা জিআরপির পুলিশ সুপার রবিউল হাসান তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি বলেন, ট্রেন একটি নিরাপদ ভ্রমন ব্যবস্থা। যাত্রীদের কাছে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য মূলত পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটানো হয়। গত কয়েক মাস এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে একমাস যাবত এ ধরণের ঘটনা বেশী ঘটছে বলে তিনি জানান। আজকের এ ঘটনায় ওই দু’ মাদরাসা ছাত্রের বিরুদ্ধে দেশের রেল আইন অনুযায়ি মামলা হবে বলে তিনি জানান।
গ্রেফতার হওয়া সাজ্জাদ শেখ উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, রাস্তার ওপরে কয়েকটি কুকুর মারামারি করছিল। তাদের লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করেছিল সে। সেখান থেকে একটি পাথর ট্রেনে গিয়ে লাগে। ভয়ে সে সেখান থেকে পালিয়ে মাদরাসায় চলে আসে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন