বরিশাল মহানগরীতে টিসিবির ট্রাকের পেছনে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত নারী-পুরুষের ভীড় কমছে না। এরই মাঝে দক্ষিণাঞ্চলের খোলা বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ হ্রাস করেছে মিল মালিকরা। ফলে বাজারে সয়াবিনসহ সব ভোজ্য তেলের সংকট ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। মহানগরীর বাইরে দক্ষিণাঞ্চলের অন্য ৫টি জেলা সদর ও ৪২টি উপজেলায় এখন টিসিবির পণ্য বিক্রি সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। তবে রমজানকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম এর প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে ৩১ মার্চ।
কিন্তু এ কার্যক্রমে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সাড়ে ৩ লাখ পরিবারের বাইরের অন্য কারো টিসিবির মাধ্যমে পণ্য কেনার সুযোগ নেই। এমনকি রমজান দরজায় কড়া নাড়লেও দক্ষিণাঞ্চলে এখনো ছোলা বুট ও খেজুর বিক্রির কোন পদক্ষেপ নেই রাষ্ট্রীয় বানিজ্য সংস্থাটির। তবে রোববার থেকে শুধু বরিশাল মহানগরীতে সিমিত আকারে কিছু ছোলা বুট বিক্রির কথা জানালেও টিসিবি দক্ষিণাঞ্চলে এবার খেজুর বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বরিশালে টিসিবির উপ পরিচালককে সেল ফোনে বহুবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
একমাত্র বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৫টি ট্রাকে মাথাপিছু ২ লিটার ভোজ্য তেল, ২-৫ কেজি পেয়াঁজ, দুই কেজি করে চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি হলেও এ অঞ্চলের অন্যত্র টিসিবির কোন কার্যক্রম নেই। ফলে বাজারে এখনো তেমন কোন ইতিবাচক প্রভাব লক্ষণীয় নয়। তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অতিরিক্ত হওয়ায় গত ১৫ দিনে আমদানিকৃত পেয়াঁজের দাম ৫৫ টাকা থেকে ২৫ টাকায় হ্রাস পেয়েছে। দেশী পেয়াঁজ এখনো ৩০-৩৩ টাকা কেজি। তবে এখনো দক্ষিণাঞ্চলের খোলা বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার ১৭০-১৮০ টাকা। মসুর ডাল ১১০ টাকা, চিনি ৮০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোলা বুট ৮০-৮৫ টাকা, বরিশালের বাজারে এখনো ৪শ টাকা কেজির নিচে কোন খেজুর নেই।
সবজির বাজার বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার যথেষ্ঠ চড়া। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বরিশালের বাজারে টমেটো ২৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা আর শশা ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, রোজাকে সামনে রেখে শশা, টমেটো ও বেগুনের দাম বাড়তে পারে। এমনকি সরবরাহে নুন্যতম কোন ঘাটতি না থাকলেও শুক্রবারই বরিশালের খোলা বাজার থেকে বেগুন উধাও হতে শুরু করেছে। এদিকে, রোজা উপলক্ষে দেশব্যাপী ১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবারহের আওতায় দক্ষিণাঞ্চলে যে সাড়ে ৩ লাখ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে, তার প্রথম কিস্তি ৩১ মার্চ শেষ করার পরে ১৫ মার্চের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের পণ্য সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন