শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পড়ালেখার খরচ জোগাতে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে খুন স্কুলছাত্র

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৮ এএম

রিকশাচালক বাবার অভাবি সংসার। তিন বেলা খাবারই জুটতো না। আবার পড়ালেখার খরচ। তাই স্কুল আর পড়ালেখার ফাঁকে বাবার রিকশা চালিয়ে কিছু টাকা আয় করতে। যা দিয়ে চলতো সাব্বিরের পড়ালেখা। শেষ পর্যন্ত রিকশা চালানোই যেন তার জীবনে কাল হলো। গতকাল ফরিদপুর সদরের ইশান গোপালপুর-নৌমল্লিকের খালপাড় এলাকার একটি ক্ষেত থেকে সাব্বির বিশ্বাসের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর পুলিশ।

নিহত সাব্বির ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরুদ্দিন মুন্সিরডাঙ্গী (কালুর বাজার) এলাকার। সাব্বির পদ্মারচর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলো মোট চার ভাইয়ের মধ্যে সাব্বির মেজ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সাব্বির। পরে রাতে বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে তার পরিবার। গতকাল সকালে একটি ঘাসক্ষেতে সাব্বিরের লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। নিহত সাব্বিরের বাবা আলমগীর বিশ্বাস বলেন, গত শুক্রবার সকালে আমার সঙ্গে তার শেষ কথা হয়। সে জানায় তার খাতা-কলম ও স্কুলের সব মিলিয়ে হাজার টাকা লাগবে। গত শুক্রবার স্কুল বন্ধ, সে রিকশা নিয়ে বের হয়। যা আয় করতে পারে আর বাকিটা আমাকে দিতে বলে। কিন্তু সে রিকশা নিয়ে বেরিয়ে আর ফেরেনি। আহাজারি করে বলেন, আমার ছেলেও নেই, রিকশাও নেই। আমার সব শেষ। আমার জানামতে আমার কোনো শত্রু ছিলো না।
সাব্বিরের চাচা মো. সোহেল জানান, আমাদের যৌথ পরিবার। সাব্বির পড়ালেখায় খুব মনোযোগী ছিলো। নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে মাঝে মাঝে রিকশা চালাতো। আর এটাই তার জীবনে কাল হলো। ধারণা করা হচ্ছে রিকশা ছিনিয়ে নিতেই তাকে হত্যা করা হয়ছে।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রিকশাটি ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন