দেশের ১৮ কোটি মানুষের ২ কোটির অধিকের বসবাস রাজধানী ঢাকা শহরে। বেশিরভাগ অফিস-আদালত ও শিল্প, কল-কারখানা রাজধানীকেন্দ্রিক হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ ঢাকামুখী। প্রয়োজনের তুলনায় অতিমাত্রার জনসংখ্যার চাপ এবং অপরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা ঢাকাসহ আশপাশের এলাকাকে বিষিয়ে তুলেছে, যদিও জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বসবাসকারী বৃহৎ এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই মনের বিরুদ্ধেই সেখানে টিকে থাকা। কেননা, ঢাকা শহরে বসবাসকারী মানুষের ভোগান্তির মাত্রা দিনকে দিন চরমে উঠছে। দূষণ, খুন, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, ঠগবাজি, ধূর্ততা, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্বলের উপর প্রভাবশালীদের নির্যাতন যেন ঢাকা শহরের অলিগলিতে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। দেশের অধিকাংশ মানুষের নিরাপত্তার ঘাটতি থাকলেও ঢাকা শহরে বসবাসকারীরা বরাবরই সর্বাধিক নিরাপত্তার অনিশ্চয়তায় ভোগে, যার বাস্তব প্রতিফলন পত্র-পত্রিকা খুললেই আমরা অহরহ দেখতে পাই। প্রকাশ্যে ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট ও অলিগলিতে বখাটে ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য, সশস্ত্র মহড়া এবং সর্বোপরি নিরীহ মানুষের উপর হামলা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এসকল ঘটনা দেখে মনে হয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর উপস্থিতিতেও মানুষ পুরোপুরি নিরুপায়। রাতের অন্ধকারের কথা বাদ দিলাম, এই প্রযুক্তির যুগে এসে যে দেশের রাজধানীতে দিনের আলোতেও প্রকাশ্যে ছিনতাই হয়, রাস্তায় মানুষ খুন হয়, সেদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সকলের মনে বিস্ময় জাগাটায় স্বাভাবিক।
আমাদের দেশে আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। এই বাড়তি জনসংখ্যার চাপ সর্বত্র লক্ষ করা যায়। বাড়তি জনসংখ্যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় বর্তমানের বেকারত্বের হার দেখে। শুধুমাত্র উপযুক্ত কর্মসংস্থানের অভাবে দেশের শিক্ষিত জনসংখ্যার বড় একটা অংশ আজ বেকার। এই বেকারত্বই যে দেশের তরুণ সমাজের চিন্তাশক্তিকে খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সবসময় তাদের জনসংখ্যা আশীর্বাদস্বরূপ। জনসংখ্যাকে তারা সর্বদা উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করে দেশের উন্নতির ধারা অব্যহত রেখেছে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ বিপরীত, যেটা যুব সমাজকে বাধ্য করছে খারাপ কর্মকাণ্ডের দিকে পা বাড়াতে। একটি উঠতি অর্থনীতির দেশের জন্য যেটা মোটেও আশাব্যাঞ্জক নয়। দেশের জনসংখ্যাকে কাজে লাগানোর জন্য দরকার সঠিক ও সুদীর্ঘ পরিকল্পনা। বাড়তি জনসংখ্যাকে বোঝা হিসেবে না নিয়ে তাদের যথাযথ কর্মসংস্থানের সুযোগ করা। তাই সবার আগে শিক্ষিত জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ করা উচিৎ। বাড়তি জনসংখ্যার সকল মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা করতে না পারলে সেটা আদৌ সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থাপনা তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে।
যেকোন দেশের জনসংখ্যার অনুপাতে যদি সার্বিক সুবিধাদি না থাকে তাহলে সেখানে সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা কখনই সম্ভব না। সেখানে সবসময় খাই খাই লেগেই থাকবে। ঠিক যেমনটি আমরা উপলদ্ধি করি দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে (চিকিৎসা, খাদ্য, শিক্ষা, পরিবহন, নিরাপত্তা...) বিদ্যমান সকল অব্যবস্থাপনা দেখে। কেউ একজন অসুস্থ হলে তাকে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হয়ে ভালো মানের চিকিৎসা নিতে অনেক বেশি হয়রানি হতে হয়। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া সকলের অভিযোগের পাল্লা সবচেয়ে বেশি। ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগের সবই সত্য। কেননা জনসংখ্যার তুলনায় প্রতিটা হাসপাতালে বিদ্যমান সার্বিক সুযোগ-সুবিধা এবং চিকিৎসকের সংখ্যা অপ্রতুল। যতদিন পর্যন্ত এ অনুপাত সামঞ্জস্যপূর্ণ না হবে ততদিন পর্যন্ত সেবা গ্রহণকারীরা চিকিৎসক বা ব্যবস্থাপনা কমিটিকে দোষারোপ করেই যাবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রের এই বিশৃঙ্খলা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয় ঢাকা শহরে। একদিকে ঢাকা শহরে বসবাস করা সকল মানুষের অনুপাতে চিকিৎসকের সংকট অন্যদিকে সারাদেশ থেকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা মিলে যে ভোগান্তি হয় সেটা সত্যিই বর্ণনাতীত। এখানে শুধুমাত্র চিকিৎসা ক্ষেত্রের উদাহরণ দিলেও এই পরিস্থিতি দেশে বিদ্যমান প্রায় সকল ক্ষেত্রেই লক্ষণীয়।
কিছুদিন আগে বায়ুদূষণে শীর্ষ অবস্থানে আসে ঢাকা শহর। তার অল্প কিছু দিনের মাথায় শব্দ দূষণেও শীর্ষ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা শহর। ঢাকার মানুষের খাদ্যাভ্যাসের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার খেয়ে অধিকাংশ মানুষের অতি অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়েবেটিসসহ নানান জটিল রোগে ভুগছে। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই উঁকি দেয় ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া। পরিবেশ দূষণ, খাদ্যে দূষণ, চুরি-ছিনতাই সহ সবদিক দিয়ে জরিপ করলে ঢাকা শহর সর্বদাই শীর্ষে থাকবে বা থাকছে। খাদ্যে দূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, ঢাকা শহরের মানুষ ইচ্ছা করলেও বাড়তি মূল্য দিয়ে ফ্রেশ এবং নির্ভেজাল জিনিস কিনতে পারবে না। সুপেয় পানির আছে তীব্র সংকট। বর্ষা মৌসুমে আছে জলাবদ্ধতা। যেখানে অল্প বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় ছোট ছোট রাস্তাসহ বড় বড় রাজপথ। এত বেশি মানুষের বসবাসের জন্য কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকায় সব দিকেই ভোগান্তি। যেকোন দেশের রাজধানীগুলো একটু বেশিই অব্যবস্থাপনা হয়। তুলনামূলক পুরাতন শহর এবং জনসংখ্যার আধিক্য হওয়ায় সাধারণত এসকল অব্যবাস্থপনা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশের অব্যবস্থাপনা সকল দেশের ঊর্ধ্বে। সরকারি বিভিন্ন খাত যেমন: বিদ্যুৎ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, সড়ক ও জনপথ ইত্যাদি একটির সাথে অন্যটির কোন যোগসূত্র নেই। একই রাস্তার নীচ দিয়ে পানির লাইন উন্নয়নের পরে আবার সেগুলো খোঁড়াখুঁড়ি করা হয় বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের জন্য। এভাবে দেখা যায়, বছরের পর বছর এক একটি বিভাগের উন্নয়নমূলক কাজ লেগেই থাকে। যেগুলো সুফলের চেয়ে ভোগান্তিই বেশি মেলে। তাইতো বিভিন্ন জরিপে বারবার উঠে আসে ঢাকা বিশ্বের মধ্যে বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় সর্বদাই শীর্ষে অবস্থান করছে।
পরিবহন খাতের দিকে নজর দিলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা আরও বেশি সুস্পষ্ট। ঢাকা শহরে চলাচলকারী গণ পরিবহনগুলোর একটিতেও মহিলাদের চলাচল উপযোগী না। এছাড়া অফিস শুরুর আগে এবং অফিস ছুটি পরবর্তী এসব গণপরিবহনে যে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়, যেটাতে একজন বলবান পুরুষ ছাড়া কোনভাবেই ওঠা সম্ভব নয়। কেননা, উঠতে গেলে নিয়মিত যুদ্ধ করেই তবে ওঠা লাগে। তাই মহিলারা এসব পরিবহনে ওঠার সাহস পায় না। এরপর আছে মাত্রারিক্ত যানজট। যেটাতে আটকে পড়ে একরকম নাকাল হয়ে ঢাকা শহরে বসবাসকারীদের দৈনন্দিন জীবন পার করা লাগে। রাস্তাঘাটের তুলনায় অধিকমাত্রার যানবাহন এই যানজটের প্রধান কারণ। যানজট বাধলেই চারপাশে আটকা পড়া সব ধরনের যানবাহন থেকে হর্ন বাজানো শুরু হয়। সকলের ধারণা এই হর্ন বাজালেই যানজট কেটে যাবে। মাঝে পড়ে জটে আটকে থাকা নিরীহ মানুষের কান ঝালাপালা হয়ে যায়। যানবাহন ছাড়াও নির্মাণাধীন বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনার নির্মাণকাজের শব্দ, উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান বাজানো এই শব্দদূষণে ভূমিকা রাখছে। যে বায়ু মানুষের জীবনচালনার অন্যতম নিয়ামক ঢাকার সেই বায়ুতেও বিষ। বায়ুর সাথে মিশ্রিত অতিরিক্ত মাত্রার সিসা, সালফার ও ধুলিকনা ঢাকা শহরের মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে নানা ধরনের কঠিন অসুখের দিকে। ঢাকা শহরে চলাচলকৃত যানবাহনগুলোর ব্যবহারের অনুপযোগী ও মেয়াদোত্তীর্ণ। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ হয়। এছাড়া যানবাহনে যে জ্বালানি ব্যবহার করা হয় তাতেও থাকে উচ্চমাত্রার সালফার। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণকাজ ও খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলতে থাকে। এসকল কাজে ব্যবহৃত মালপত্র ঢেকে রাখা হয় না। এক বিভাগের সাথে অন্য বিভাগের সমন্বয় না থাকায় দেখা যায়, সারা বছর ধরে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। খোঁড়াখুঁড়ির পরে মাটিগুলো রাস্তার পাশেই রাখা হয়, যা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ায়। ঢাকার আশপাশে গড়ে ওঠা গার্মেন্ট এবং শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য থেকেও দূষণ ছড়ায় ব্যাপকভাবে। এছাড়া ঢাকার আশপাশে প্রচুর ইটভাটা রয়েছে এবং সেগুলো দূষণের জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী। উন্নত দেশগুলোর দিকে খেয়াল করলে দেখা যায় তারা ‘কন্ট্রোল ওয়ে’ তে দূষণ কমাচ্ছে। সেখানে পুরোনো ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি বাতিল করে দেওয়া হয়। তারা ভালো মানের জ্বালানি ব্যবহার করে। ফলে পরিবেশ কম দূষিত হয়। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ চালিত পরিবহন। এছাড়াও অধিক যাত্রী ধারণ ক্ষমতার গণপরিবহন যেমন ট্রাম, দ্বিতলবিশিষ্ট বাস ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আমরা দেশ মুড়ির টিনের সদৃশ বিকল এবং উচ্চ শব্দসৃষ্টিকারী ইঞ্জিনচালিত গাড়ি ব্যবহারের অনুমোদন দিচ্ছে, যেটার ভবিষ্যৎ কখনো ভালো হওয়ার নয়।
দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা প্রোটোকল নিয়ে ঢাকা শহরে চলাচল করেন। যেটার ফল ও সাধারণ মানুষ ভোগ করে। দীর্ঘ যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ হল এই এসব ভিআইপি বা ভিভিআইপিদের চলাচল। প্রোটোকল নিয়ে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে বীরদর্পে চলে যাওয়ার পরক্ষণের অবস্থাটা তারা পর্যবেক্ষণ করেন না। কিন্তু মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পায়। যে যানজট সৃষ্টি হয় সেটা স্বাভাবিক হতে ১২-১৪ ঘণ্টা পার হয়ে যায়। এককথায় ঢাকা শহরে মানুষের দিনের যাত্রা শুরু হয় যুদ্ধ দিয়ে। এই যুদ্ধ শুরু হয় নিজের কর্মক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে পা বাড়ানোর সাথে সাথে। গণপরিবহনের সাথে, চোর-ছিনতাইকারীর সাথে এবং সর্বোপরি রোগ বালাই, দূষণ এবং নানান অনিয়মের সাথে। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে সড়কে প্রানহানি। চালকের অদক্ষতা, অপর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, বাড়তি জনসংখ্যার সাথে অনেক অব্যবস্থাপনা এসব দুর্ঘটনার জন্য দ্বায়ী। ছিনতাইকারীর হাতে প্রাণ যাওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। তার সাথে ইদানিং আবার শুটারের গুলির আওতায় পড়েও নিরীহ পথচারীর প্রাণ যাওয়ার আধিক্য দেখা যাচ্ছে। এসব ভাবলে গা শিউরে ওঠে। বাসাবাড়ির ভিতরে থেকেও আছে মৃত্যুভয়। মোদ্দা কথা হলো, আমাদের দেশের আমজনতার জীবনের কোন মূল্য নেই। আর সেজন্যই প্রতিদিন আগুন লেগে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে, সড়ক দুর্ঘটনায়, ছিনতাইকারীর হাতে, লঞ্চ ডুবে, স্পিড বোট ডুবে, ট্রলার ডুবে মৃত্যুর আধিক্য দেখা যায়।
আমরা সবাই জানি, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ঘুনে ধরা সমাজ ও রাষ্ট্রের নানান অব্যবস্থাপনা, বিদ্যমান অনিয়মকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। তাই এসকল অব্যবস্থাপনা থেকে বের হওয়াটা আদৌ সম্ভব নয়। দিনকে দিন ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় হৃষ্ট পুষ্ট হয়ে বেড়ে ওঠা পোষা ‘মানুষ’গুলো যেমন কোন অপকর্মকে ভয় করে না, ঠিক তেমনি এদের মালিক পক্ষের লোকও মোটা অংকের অর্থের লোভে যেকোন অনিয়মকে নিয়ম বলে চালিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। মানুষের সুযোগ সুবিধার পরিবর্তে প্রাধান্য দেওয়া হয় অধিক চাটুকারিতা। এই চাটুকারিতা বিশ্বের সবদেশে থাকলেও আমাদের দেশে মাত্রারিক্ত। ওদিকে বিচারহীনতা ও বিচারকার্যে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও অপকর্মকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তেমনি, বহাল তবিয়াতে সমাজে দুর্নীতি, দূষণ, অপকর্মের মাত্রাও জ্যামিতিক হারে বাড়ছে।
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
ajoymondal325@yahoo.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন