শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

আদমদীঘির গাছে গাছে ঝুলছে সজনে ডাটা

ফলন ও দাম দুটোই বেশি

মো. মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরসহ সান্তাহার পৌর এলাকায় এবার সজনের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি সজনে গাছের ডালে ডালে ঝুলছে সারি সারি ডাটা। আর বাজারে বেশি দামে সজনে বিক্রি করতে পেরে বেজায় খুশি গাছ মালিকরা।

চৈত্রের প্রচণ্ড গরমে সজনের চাহিদা অনেক বেড়েছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি ও বাগানে গিয়ে গাছের সজনে কিনছেন। আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার বেশি উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে সজনে ডাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মুখোরচক ও পুষ্টিগুনে ভরপুর সজনে ডাটা স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বাজারে অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনের দাম বেশি। ফলন বেশি হওয়ার পরও দাম বাড়তিতে ক্রেতারা নাখোশ। তাদের কথা, যেহেতু ফলন বেশি হয়েছে- স্বাভাবিকভাবে দাম নাগালের মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু দামের ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টোটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিমন সজনে প্রায় ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। চিকিৎসকরা বলছেন, সজনেতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ আয়রণসহ প্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাদ্য রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি, সি, সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
সজনে গাছের ডাল কেটে মাটিতে পুতে রাখলেই সজনে গাছ জন্মায়। গাছের কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। এ গাছ অযন্ত অবহেলায় প্রকৃতিকভাবে বেড়ে উঠে। বড় ও মাঝারি গাছে ছয় থেকে আট মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া য়ায়।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠুচন্দ্র অধিকারী ইনকিলাবকে বলেন, উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া সজনে চাষে উপযোগী। ব্যাণিজ্যিকভাবে সজনে চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন