মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ ও স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে হঠাৎ করে কলার দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছেমতো ভোক্তাদের থেকে দাম আদায় করছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রোজাদারী ভোক্তাগণ।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারে লক্ষ্য করা যায়, বাজারের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা কলা সাজিয়ে রেখেছেন। এরমধ্যে চাম্পা ও সাগর কলাই বেশি। পাকা কলার পাশাপাশি গাছ থেকে কেটে আনা কাঁচা কলাও সাজিয়ে রাখা হয়। তবে সেগুলো গর্তে রেখে কিংবা কেমিক্যালের মাধ্যমে পাকানোর পর চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। গত শনিবার রমজানের বাজার থাকায় হাটবাজারে কলার সরবরাহ প্রচুর ছিলো। তবে কোথাও দাম কম দেখা যায়নি। ছোট সাইজের এক ডজন পাকা চাম্পা কলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা হারে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার এক হালি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর কলার ক্ষেত্রে এক হালি ২৫-৩০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারের এসব কলার অধিকাংশই কৃত্রিমভাবে পাকানো ও নিন্মমানের বলে স্থানীয়রা দাবি করেন।
শমশেরনগর বাজারের ক্রেতা ডলি বেগম, আলাল মিয়া ও ছাদেক মিয়া বলেন, কিছুদিন আগেও যে চাম্পা কলার হালি ছিল ১৫ টাকা রমজান মাস শুরু হতে না হতেই এখন সেই কলার হালি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তারা আরও বলেন, কলা ব্যবসায়ীদের কেউ তদারকি না করায় ব্যবসায়ীরা যার যার মতো দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
শমশেরনগর বাজার বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান রমজানে কলার দাম বৃৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুযোগ বুঝে যে যার মতো গ্রাহকদের কাছ থেকে কলার দাম আদায় করে নিচ্ছেন। তবে এসব বিষয় দেখভালের দায়িত্ব আমাদের নয়।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বলেন, আসলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে কলার দাম বেশি। তবে সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ করা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরও কোথাও অতিরিক্ত কলার দাম নেয়া হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন