নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফউদ্দিন সবুজের বড় ছেলে অনন্ত শাহ কিশোর গ্যাংয়ের হামলা ও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। তার পিঠের ক্ষতস্থানে ১৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। দুই গ্রুপের মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত অনন্ত শাহ (১৬) নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার পৌনে ১০টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইর ঈদগাঁ সংলগ্ন মেলা ফুডের সামনে। হামলায় ১৫-২০ জনের একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপ ছিল।
হামলার ঘটনায় অনন্তর বাবা শরীফ উদ্দিন সবুজ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় গতকাল সোমবার সকালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ওই মামলায় আটক জিহাদ, জিদান ও আরিফ নামে তিন কিশোরকে গ্রেফতার দেখিয়েছে।
এদিকে আহত অনন্ত জানায়, তার পথরোধ করে তাকে প্রথমে ঈদগাঁ মাঠের ভেতরে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় তার সঙ্গে ধস্তধস্তির এক পর্যায়ে তাকে পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়। সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারী পিটিয়ে অপহরনের চেষ্টার এক পর্যায়ে আহতাবস্থায় তাকে ফেলে দ্রুত দৌঁড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ জানান, রোববার রাতে বন্ধুদের সাথে অনন্ত তার দাদা-দাদীর কবর জিয়ারত করতে মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে যায়। জিয়ারত শেষে বাসায় ফেরার পথে মাসদাইর ঈদগাঁয়ের সামনে তাদের ৫জনকে ঘিরে ধরে ১৫-২০ জন কিশোর। এসময় তারা অনন্তকে বলে, তুমি কি সিয়ামের বন্ধু? অনন্ত বলে, হ্যাঁ। এরপরই তাকে টেনে হেচড়ে ঈদগাঁয়ের ভেতর নেয়ার চেষ্টা করে কিশোর সন্ত্রাসীরা। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা অনন্তের পিঠে ছুরিকাঘাত করে এবং অনন্তের ২ বন্ধুকেও আহত করে। এসময় আহত অবস্থায় অনন্ত দৌড়ে কলেজ রোডের দিকে আসতে থাকে। তখন হামলাকারীরাও তার পিছু নেয়। এক পর্যায়ে অনন্তের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ও আমাদের পরিচিতজনরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে অনন্তকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখাসে তার ক্ষত স্থানে ১৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে তবে ঘটনাটি ঈগাঁয়ের সামনে নয় মাসদাইর কবরস্থানের সামনে ঘটেছে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, সিনিয়র ও জুনিয়দের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন