শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চিলমারীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নান সম্পন্ন

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৮:৩৭ এএম

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী স্নান সম্পন্ন হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র স্নান উপলক্ষ্যে গত তিনদিন পূর্ব থেকেই চিলমারীতে শুরু হয় সাজ রব।

হে মহা ভাগ ব্রহ্মপুত্র,হে লৌহিত্য, তুমি আমার পাপ হরণ করো। মন্ত্র উচ্চারণ করে পূণ্যার্থীরা কৃপা চান ব্রহ্মার। স্নান উৎসবে মেতে উঠেন পূণ্যার্থীরা। গত কয়েকদিন থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পূণ্যার্থীরা ভিড় জমান উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজারভিটা, পুটিমারী নদীর তীর, চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। সড়ক পথে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, অটো ও মোটরগাড়ি করে। নদী পথে ট্রলার ও নৌকাযোগে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে পূণ্যার্থীরা সমবেত হন ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। উৎসব কমিটির নেতারা বলেন, করোনার কারনে গত দু’বছরে উৎসব না হওয়ায় এবারে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক পূণ্যার্থী যোগ দিয়েছেন স্নান উৎসবে।

চিলমারী ফকিরের হাট ঘাট থেকে রাজার ভিটা পর্যন্ত শুরু হয়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার ব্যাপী ব্রহ্মপুত্র নদে এই স্নানের আয়োজন করে চিলমারী উপজেলা প্রশাসন ও পূঁজা উদযাপন কমিটি। শুক্রবার রাত ৯.১১ টা থেকে শনিবার রাত ১১টা ৮ মিনিট অষ্টমী প্রহর থাকলেও স্নান করার উত্তম সময় ধরা হয়েছে শনিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট ৩ সেকেন্ড থেকে ১০টা ৩ মিনিট ৫১ সেকেন্ড পর্যন্ত। প্রায় ৫ লাখ পূণ্যার্থীর পদভারে মূখরিত হয়ে উঠেছিল চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা।

সরেজমিনে, স্নান করতে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রী গদা চন্দ্র, শ্রী ডালু চন্দ্র, পলাশ কুমার সহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানান করোনার কারনে গত বছর অষ্টমির স্নান করতে পারিনি কিন্ত এবার শান্তি পূর্ণ ভাবে স্নান করলাম।

চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম বলেন , প্রতি বছরের ন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, চীনসহ অন্যান্য দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থীগণ অষ্টমী স্নান মেলায় আসেন। এ বছর প্রায় ৫ লক্ষাধীক পূন্যার্থীর সমাগম ঘটেছে ।

উপজেলা নির্বাহী মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, সরকারিভাবে অষ্টমী স্নান মেলা স্থলে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, বিশুদ্ধ পানীয় জলের জন্য নলকুপ স্থাপন, মহিলাদের কাপড় বদলানোর জন্য দু’শতাধিক তাবু টাঙ্গানো হয়। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপির পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করাসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান গুলোতে পুলিশী পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন