শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ছিনতাই-চুরির মামলা না নিলে থানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

২৭জন ছিনতাইকারী গ্রেফতার ডিবির সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০২ এএম

ছিনতাই, চুরি বা ডাকাতি হওয়ার পরও কোনো থানা মামলা না নিলে বা মামলা নিতে গড়িমসি করলে অভিযোগ করুন। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনার আলোকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিএমপির গোয়েন্দা রমনা ও লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী চক্রের ২৭ সদস্যকে গ্রেফতার করে। গত ৬ ও ৮ এপ্রিল হাজারীবাগ, চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে লোহার রড, দা, ছুরি, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম জব্দ করা হয়। গতকাল শনিবার ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম এ কথা বলেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুর রহমান শুভ (২২), ইয়াছিন আরাফাত জয় (১৯), বাবু মিয়া (২৮), ফরহাদ (২১), হৃদয় সরকার (২৪), আকাশ (২০), জনি খান (২২), রোকন (১৮), মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান (২৭), মনির হোসেন (৪১), জুয়েল (২২), জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল (৩৬), আজিম ওরফে গালকাটা আজিম (৩৫), শাকিল ওরফে লাদেন (২৪), ইমন (২২), রাজিব (২৫), রাসেল (৩২), মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ (৩৯), মাসুদ (৩০), তাজুল ইসলাম মামুন (৩০), সবুজ (৩০), জীবন (২৫), রিয়াজুল ইসলাম (২৫), মুন্না হাওলাদার (১৯), শাকিল হাওলাদার (২০), ফেরদৌস (২২) ও আবুল কালাম আজাদ (৩৪)।
ডিবি দক্ষিণের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, রোজা ও ঈদকে কেন্দ্র করে ছিনতাই, মলম ও টানা পার্টির দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। ডিবি পুলিশও বিশেষ করে ঢাকায় দস্যুতা, ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেফতারকৃত ২৭ জনই পেশাদার ছিনতাইকারী ও ডাকাত দলের সদস্য। গ্রেফতার ২৭ জনের বিরুদ্ধেই চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ জনকে বিভিন্ন মামলায় জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানিয়েছেন, তারা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্টপেজে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করতেন। এরপর যাত্রীবেশে বাসে উঠে সুযোগ বুঝে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক উপাদান প্রয়োগ করতেন। পরে ওই যাত্রীকে অচেতন করে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতেন।
এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকায় ডিজিটাল ডিভাইস চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। বিশেষ করে যারা ছিচকে চোর-ছিনতাইকারী, তারা রাস্তায় মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার টান দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। তাদের অধিকাংশই মাদকসেবী। আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় ব্যবহার হচ্ছে চোরাই মোবাইল। এগুলো করার জন্য একটি চক্র সক্রিয়। বিশেষ করে হাতিরপুলের ইস্টার্নপ্লাজা, মোতালেব প্লাজা এবং গুলিস্তান এলাকায় যে কেউ গেলে তাদের মোবাইল আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে নিতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, এবার আমরা পরিকল্পনা করেছি, যারা এ ধরনের চোরাই মোবাইলের কারবার করেন, আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে পুনরায় বিক্রি করেন, যাদের মাধ্যমে এসব হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবো। কারণ এই চক্রটির সদস্যদের বিরুদ্ধে শুধু ছিনতাই মামলা নয়, মাদক মামলাও রয়েছে।
চোরাই-ছিনতাইকৃত মোবাইল বিভিন্ন মার্কেটে যাচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে- এমন তথ্য ডিবি পেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু দেশীয় মার্কেট কিংবা শপিংমলগুলোতে নয়, চোরাই মোবাইল দেশের বাইরেও পাচার হচ্ছে। যেমন ছিনতাইকৃত আইফোনগুলো যাচ্ছে দেশের বাইরে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন