বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কাগতিয়া কামিল মাদরাসার এনামী জলসায় বক্তারা

প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কাগতিয়া মাদরাসা বাংলার আল-আজাহারে পরিণত হচ্ছে
রাউজান উপজেলা সংবাদদাতা : নিভৃত পল্লীতে গড়ে ওঠা কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এমএ মাদরাসার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও অবকাঠামো যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে দিন দিন এ মাদরাসা বাংলার আল-আজাহারে পরিণত হতে চলছে। হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজমের রূহানী নজর ও মোর্শেদে আজম অধ্যক্ষ মহোদয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিক, অবকাঠামোগত দিক দিয়ে এ মাদরাসা উন্নতির এক একটি ধাপ অতিক্রম করছে। আধুনিক মানের লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব, ফুলে সুশোভিত ক্যাম্পাস, বিশ্বমানের অ্যাকাডেমিক ভবন, বিশাল মাঠ, আবাসিক ভবন ইত্যাদি নিয়ে গড়ে ওঠা এ মাদরাসা দর্শনার্থীদের মনকে করে তোলে মুগ্ধকর। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম কাগতিয়া এশাতুল উলুম কামিল এমএ মাদরাসার ৮৫তম এনামী জলসায় অতিথিবৃন্দ এ কথা বলেন।
ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার গভীর সমন্বয় উপলব্ধি করে অতিথিরা মাদরাসার অধ্যক্ষ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আধুনিক দ্বীনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে এমন উদার দ্বীনী মনোভাবাপন্ন মনীষীর একান্ত প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে এনামী জলসায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আরবী বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম রফিকুল আলম, মাদরাসার পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আলহাজ অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া, মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফী, মুফতি কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মুহাদ্দিস আল্লামা আশেকুর রহমান, আল্লামা সেকান্দর আলী প্রমুখ।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলবিয়ন ল্যাবরটরিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আলহাজ মোহাম্মদ আবুল হাসান, এফবিসিসিআই সদস্য আলহাজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন তালুকদার, গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। এদিকে ৮৫তম সালানা জলসা উপলক্ষে অর্ধকিলোমিটার জুড়ে সাজ সাজ রব বিরাজ করছিল। সভা উপলক্ষে বিশাল আয়তনের মাদরাসা ভবনকে সজ্জিত করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে কাগতিয়া মাদরাসাসহ আশপাশ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। অনেকে মাদরাসা ফান্ডের জন্য টাকা, ধান, আলু, লবণ, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। এ সময় দানকৃত ব্যক্তিদের জন্য আল্লাহর দরবারে তাদের দান কবুল হওয়ার জন্য ফরিয়াদ জানান মাওলানা এমদাদুল হক মুনিরী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন