স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে আলোচিত গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাফসান হোসেন রুবেলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় রুবেলের কাছ থেকে মুঠোফোনের একটি সেট ও নগদ প্রায় সাড়ে নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো ধর্ষণের শিকার ওই গারো তরুণীর হবু স্বামীর কাছ থেকে ছিনতাই করেছিল রুবেল।
গতকাল শনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মো: মাসুদ এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর রামপুরা ও বাড্ডা এলাকার অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজি, অপহরণকারী, ডাকাতির অভিযোগে মোট নয়টি মামলা রয়েছে। র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগী ওই গারো তরুণী রাজধানীতে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করেন। গত ২৫ অক্টোবর বেলা সাড়ে তিনটায় তিনি তার হবু স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে রাজধানীর বাড্ডায় একটি বাড়িতে যান। এতে ওই বাড়ির অন্য বাসিন্দারা নাখোশ হন এবং ওই তরুণীর হবু স্বামীকে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। র্যাব কর্মকর্তা জানান, এরপর ওই বাসার একজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে আল-আমিন, রনি, সুমন, নাজমুল ও সুমন ওই তরুণীর হবু স্বামীকে ফাঁদে ফেলে নগদ ১৭ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর রুবেল ও তার সহযোগী সালু মিলে তরুণীকে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই ধর্ষণ করা হয় তাকে। এ ঘটনায় ধর্ষণের বিচারের দাবিতে গারো সম্প্রদায়সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ধর্ষক ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
তিনি বলেন, গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে উত্তর বাড্ডায় হবু স্বামী রিপনের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই তরুণী। এ সময় মেসের ব্যবস্থাপক হানিফ তার হবু স্বামীকে বলেন, এখানে মেয়েদের আসা নিষেধ। নাজমুল সালাউদ্দিন, আল আমিন ও রনি নামে মেসের কয়েকজন ভাড়াটে ছিলেন। একপর্যায়ে গারো তরুণীর হবু স্বামীকে গত ১ নভেম্বরের মধ্যে মেস ছেড়ে দেয়ার কথা বলেন। তবে মেসের ভাড়াটেরা স্থানীয় সন্ত্রাসী রুবেলকে ডেকে আনে। পরে সালাউদ্দিন ও আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণীকে পাশের হাজী মোশারফ মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায় রুবেল। সেখানে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে রুবেল। রুবেলকে সহযোগিতা করে সালাউদ্দিন ও আল আমিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন