স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র ক্বাবা শরীফকে কটাক্ষ করার নিন্দা এবং সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘরে হামলার প্রতিবাদে গতকাল ইসলামী ছাত্র সেনা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। নেতৃবৃন্দ ধর্ম অবমাননাকারী, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, বাড়ী-ঘরে হামলাকারীদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানিয়েছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দও এক বিবৃতিতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে।
ইসলামী ছাত্র সেনা
সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানি ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেসক্লাবের ছাত্রসেনার মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন ইসলাম তথা কাবা শরিফ নিয়ে কটাক্ষ ধর্মের উপর আঘার। আর এটাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীরা ধর্ম ও মানবতার শত্রু: দোষীদের গ্রেফতারসহ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। দেশে চলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার এক মানববন্ধন গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ছাত্রনেতা মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রনেতা ইমরান হুসাইনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ম মহাসচিব ও যুবসেনার সভাপতি অধ্যাপক এম এ মোমেনসহ মাসউদ হুসাইন আলকাদেরী, সৈয়দ মুজাফফর আহমাদ, মুহাম্মদ আবদুল মতিন, মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আনছারী, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, সোলায়মান খান রব্বানী, ছাত্রসেনার সাধারণ সম্পাদক ছাদেকুর রহমান খান, শাহাদাত হুসাইন, মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, এইচ. এম. শহীদুল্লাহ, নুরুল্লাহ রায়হান খান, কাওসার আহমাদ, ফয়সাল করীম, আবুল কালাম আজাদ, আমান উল্লাহ আমান, নিজামুল করীম সুজন, আলী আকবর, মোহাম্মদ শাহ্জালাল, শেখ মুহাম্মদ বোরহান উদ্দীন প্রমুখ।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন
বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে অগ্নিকা-, গুলিবর্ষণ ও নিহতের ঘটনা মেনে নেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর নেতৃবৃন্দ।
গতকাল ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জি.এম রুহুল আমীন এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ ফজলুল করীম মারুফ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, সাঁওতালদের বসবাসের বাড়ি-ঘর ও সহায়-সম্পত্তিতে কেন অগ্নিসংযোগ করা হলো? স্থানীয় চেয়ারম্যান শাকিলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভূমি উদ্ধার সংহতি কমিটির নেতৃত্ব দেয়ার পর সাঁওতাল উচ্ছেদে তার ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নেতৃবৃন্দ বলেন, নাসিরনগরের ঘটনার মত সংখ্যালঘুদের নিয়ে নোংরা রাজনীতির পুনরাবৃত্তি আমরা আর দেখতে চাই না। সরকারের বাড়াবাড়ির সুযোগে সাঁওতাল সম্প্রদায়কে নিয়ে স্বার্থসিদ্ধিকারীদের দমন করার দায়িত্ব সরকারের।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা চাই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান। বাড়াবাড়ির মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা সহ্য করা হবে না। অবিলম্বে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন