স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে শিবালয় পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে শিবালয় থানায় এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানায় শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবনী।
গ্রেফতাররা হলেন, শিবালয় উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের তুহিনুজ্জামান তপুর ছেলে পারভেজ মোশারফ ওরফে সামিউল ইসলাম সামি ও ঘিওর উপজেলার শ্রীবাড়ী গ্রামের পল্লব সরকারের ছেলে তাপস সরকার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী জানান, গত ২ মার্চ বিকালে বাড়ি থেকে খালাবাড়ি যাচ্ছিলো ওই স্কুলছাত্রী (এসএসসি পরীক্ষার্থী)। শিবালয় উপজেলার টেপড়া এলাকা থেকে তার পূর্ব পরিচিত সামিউল ওরফে সামি ও তার সহযোগী তাপস সরকার জোর করে তাকে রিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এরপর রাতে পৃথকস্থানে আটকে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে তারা।
এসময় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। এরপর মেয়েটির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে রেখে তাকে ভোররাতে টেপড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি রিকশায় করে খালার বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ঘটনা কাউকে জানালে ধারণকৃত ভিডিও ফেসবুক ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় শিক্ষার্থীকে। খালা বাড়ি ফিরে এই ঘটনা শিক্ষার্থী জানালেও লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি চেপে যায় পরিবার। কিন্তু বখাটেরা ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে আবারো নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো। দাবি করছিলো টাকা ও স্বর্ণালংকারও। এক পর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হয়। গত রোববার শিক্ষার্থীর মা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনককে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপসহ মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। পরে অভিযুক্ত পারভেজ মোশারফ ওরফে সামিউল ইসলাম সামি ও পল্লব সরকারের ছেলে তাপস সরকারকে আদালতে পাঠানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন