শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

খুলনা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : খুলনা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় জাকিয়া (৪) নামের এক শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেলে হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলার দক্ষিণ ব্লকের (ওয়ার্ড) আট নম্বর বেডে সে মারা যায়। এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুই নার্সকে শোকজ করেছে। তবে একের পর এক এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র দায়সারা ভাবে তদন্ত কমিটি গঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একাধিক শিশুর অভিভাবকদের অভিযোগ-খুলনাঞ্চলে একমাত্র শিশু হাসপাতালে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসলেও ডাক্তার ও নার্স স্বল্পতা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে অকালে ঝরে যাচ্ছে শিশুরা। 

শিশুর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি গ্রামের খলিলুর রহমান জ্বরে আক্রান্ত চার বছরের মেয়ে জাকিয়াকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত ডা. প্রদীপ শিশুটিকে জ্বরের ওষুধ দেন। এরপর আর কোন ডাক্তার শিশুটিকে দেখেনি। সকালে পরীক্ষার জন্য রক্ত নিলেও তার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এ সময়ের মধ্যে শিশুটিকে জ্বরের, এন্টিবায়োটিক ও ডায়রিয়ার স্যালাইন দেন। দুপুরের পরে শিশুটির শরীরে প্রচ- জ্বালাপোড়া শুরু হয়। পাশে থাকা পিতা-মাতা নার্সকে ডাক্তার ডাকতে বলেন, কিন্তু তখন হাসপাতালে কোন ডাক্তার পাওয়া যায়নি। নার্স শ্যামলী রায় শিশুটির পিতাকে বলেন-ওর রক্তশুন্যতা দেখা দিয়েছে। তখন শিশুটির পিতা খলিলুর রহমান শিশুটির রক্তের গ্রুপ ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চান। এ সময় নার্সরা তা দেখাতে পারেননি। এক পর্যায়ে বিকেল চারটার দিকে শিশুটি পিতা-মাতার সামনে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে পিতা-মাতা ও স্বজনদের কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। পরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। গোটা হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়ে আতংক।
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, শিশুটির ক্যান্সার হয়েছে। তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে-রক্ত শূন্যতার কারণে শিশুটি মারা গেছে। সকল প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট না পেয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। রক্তের রিপোর্ট দিতে বিলম্ব হওয়া ও কর্তব্য অবহেলার কারণে নার্স শ্যামলী রায় ও ইতি মিস্ত্রিকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া কারোর দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন