চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। বয়স মোটে ১০ বছর। ছোট্ট কাজল দৌড় শুরু করে দিয়েছে। ২১০ কিলোমিটার দৌড়ে সে পৌঁছবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়িতে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। অতটুকু মেয়ে হলে কী হবে, মনোবলে বড়দের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে সে! কিন্তু কেন এই কঠিন দৌড়?
আসলে গত বছর ইন্ডিয়া ম্যারাথনে যোগ দিয়েছিল সে। তার অভিযোগ, সেই দীর্ঘ দৌড়ে যদিও ব্যক্তিগতভাবে সে ১৪ তম স্থানে শেষ করে, তথাপি তাকে স্বীকৃতি দেয়নি ওই ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজক কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সেই নালিশই জানাতে চলেছে সে। এইসঙ্গে তার স্বপ্নের কথাও জানাবে সে।
ইতিমধ্যে প্রয়াগরাজ থেকে দৌড় শুরু করে দিয়েছে কাজল। ছোট্ট পায়ে তাকে পৌঁছতে হবে সেই লখনউ শহরে। যার দূরত্ব ২১০ কিলোমিটার। এতখানি পথ সে বাসে, ট্রেনে বা অন্য কোনও যানবাহনে যেতেই পারত, তা অনেক সহজ হত। কিন্তু একজন অ্যাথেলিট হিসেবেই সে তার নালিশ জানাতে চায় যোগীকে। তবে এযাত্রায় সঙ্গে থাকছে কাজলের প্রশিক্ষক রজনীকান্ত।
ঠিক হয়েছে, প্রতিদিন ৩৫-৪০ কিলোমিটার দৌড়বে সে। তীব্র গরমের কারণে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা অবধি ও বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে ৭টা অবধি একটানা দৌড়বে কাজল। প্রয়োজন মতো বিশ্রাম নেবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ১৭ এপ্রিলে যোগীর লখনউয়ের বাসভবনে পৌঁছে যাবে কাজল। এর মধ্যে একবার বিধায়ক রাজা ভাইয়ার বাসভবনে বিশ্রাম নেওয়ারও কথা রয়েছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর।
কাজলের প্রশিক্ষক রজনীকান্ত জানিয়েছেন, ললিতপুরের বাসিন্দা এই ক্ষুদে দৌড়বিদ। তার বাবা নীরজ নিশাদ রেলের পয়েন্টম্যান। রজনীকান্তও দাবি করেছেন, তার ছাত্রী ইন্ডিয়া ম্যারাথনে ১৪ তম স্থানে দৌড়ে শেষ করেছিল। যদিও সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি তাকে। আর কাজল কী বলছে তার অভিনব দৌড় নিয়ে?
ছোট্ট মেয়ের আশা, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার স্বপ্নকে সার্থক করতে সাহায্য করবেন। যাবতীয় বাধা ডিঙিয়ে সে একজন অ্যাথেলিট হতে চায়। ভারতকে গর্বিত করতে চায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন