নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের ৩টি হত্যাসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী সোহেল খান (৪০) নামে এক সন্ত্রাসীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে নিহতের শ্বশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সোহেল খান উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বদিয়ার খান ওরফে বদির কানার ছেলে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোহেল খান পুলিশের হাতে গ্রেফতার ও প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। বৃহস্পতিবার সে গোপনে শ্বশুরবাড়ি ভাটপাড়া গ্রামের হাসান মুন্সির বাড়ীতে আসে। মুহুর্তের মধ্যে তার উপস্থিতি প্রতিপক্ষের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। ঘটনার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সোহেল ও তার স্ত্রী শ্বশুরবাড়ির উঠানে বসে গল্প করছিল। এ সময় উঠানের পাশে খচমচ শব্দ শুনে সোহেল সেদিকে এগিয়ে যায়। এ সময় সেখানে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৭/৮ জন দুর্বৃত্ত তাকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ,বুকে পিঠে,হাত-পা ও মুখে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। হামলার সময় সোহেলের স্ত্রী রিজিয়া খানম স্বামী উদ্ধার করতে গিয়ে হাতে সামান্য জখম হয়।
নিহত সোহেলের নামে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান পলাশ, দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জহিরুল ইসলাম রেজওয়ান, যুবদল নেতা তনু ফকির হত্যাসহ অস্ত্র ও ডাকাতি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে লোহাগড়া ও নড়াগাতী থানায় মোট ১৩টি মামলা রয়েছে। সে পুলিশের তালিকাভুক্ত ওয়ান্টেড আসামী।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের সাথে জড়িতদের সনাক্ত ও আটকের জোর চেষ্টা চলছে। নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন