‘দেশে ২০২০ সালের চেয়ে ২০২১ এ দারিদ্র্য কমেছে’ বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদনের এ তথ্য উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের এ প্রতিবেদন প্রমাণ করেছে দেশের তথাকথিত কিছু গবেষণা ও সামাজিক সংস্থা মানুষকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যেই দারিদ্র্য বৃদ্ধির মনগড়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। আশা করি এসব অপপ্রচার এখন বন্ধ হবে।
বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডিভালপমেন্ট আপডেট-রিকভারি অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স এমিড গ্লোবাল আনসার্টেইনটি’ প্রতিবেদনের বিষয়ে শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২০ সালের তুলনায় বাংলাদেশে ২০২১ সালে দারিদ্র্য ০ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। দারিদ্র্য যেখানে আগে ছিল ১২ দশমিক ৫ শতাংশ। সেটি এখন ১১ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
‘অর্থাৎ আমরা যে এতোদিন ধরে বলে এসেছি, করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এই দুটো সমন্বয় করে তিনি দেশ পরিচালনা করেছেন। এতে দেশ উপকৃত হচ্ছে- সেই কথাটিই বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে বাংলাদেশের দারিদ্র্য কমছে, অথচ আমরা দেখেছি, কিছু পত্রপত্রিকায় বলা হয়েছে দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে । সুতরাং যে পত্রিকা ও যারা এ ধরনের মনগড়া তথ্য প্রকাশ করেছেন, আশা করি এখন তারা সতর্ক হবেন ও দারিদ্র্য নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের অপচেষ্টা বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে ২০২০-২১ সালে পৃথিবীর মাত্র যে ২০টি দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধনাত্মক, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বাংলাদেশের আগের দুটি দেশ সাউথ সুদান ও গায়েনার অর্থনীতির আকার ও জনসংখ্যা আমাদের চেয়ে অনেক কম। সুতরাং ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশেকে বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এক নম্বর বলা চলে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনও বলে- দেশে চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ ও আগামী বছরে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। যদিও আশা করি এর চেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন