শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুদের টাকা পরিশোধ করতে নবজাতককে বিক্রি

উদ্ধার করল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

সুদের টাকা পরিশোধ করতে এক বছর পূর্বে বিক্রি করে দেয়া এক নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। গত শনিবার রাতে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা এলাকার দক্ষিণ পাশা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় শিশুটিকে কিনে নেয়া রানু নামক এক নারীকে। আটককৃত রানু বেগম মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার দক্ষিণ পাশার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত নেমে নিজস্ব সোর্স ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার দক্ষিণ পাশা গ্রামে অভিযান চালিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধারসহ আটক করা হয়েছে রানু বেগমকে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। তবে মূল হোতা লাকীকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।
বাচ্চা ক্রয়কারী আটককৃত রানু বেগম পুলিশকে জানায়, তার একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। কিন্ত ছেলেটি প্রতিবন্ধী। তাই সে একটি ছেলে দত্তক বা ক্রয় করার জন্য পরিচিতজনদের বলে রেখেছিলো। এক বছর একমাস পূর্বে শ্যামপুর আফসার করিম রোডের মৃত আয়াত আলীর স্ত্রী সুমা তাকে ফোন করে জানায় একটি বাচ্চা বিক্রি হবে। সে তখন ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বাচ্চাটি ক্রয় করে। বাচ্চাটির নাম রেখেছেন ইউসুফ। সুমা জানায়, তার বোন ঝর্নার মাধ্যমে জানতে পারে যে একটি বাচ্চা বিক্রি হবে। পরে সে তার মামী রানু বেগমকে জানালে সে আগ্রহ প্রকাশ করে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বাচ্চাটি কিনে নেয়। অপরদিকে ঝর্না জানায়, আলীগঞ্জস্থ বিডব্লিউটি কলোনীর শাহালমের ভাড়াটিয়া ফারুকের স্ত্রী রুবিনা তাকে ফোন করে জানায় বাচ্চা বিক্রির কথা।
বাচ্চাটির মা রানী বেগম পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার বাদারতলীর হান্নান চৌকিদারের স্ত্রী। তারা স্ব- পরিবারে বর্তমানে ফতুল্লা থানার আলীগঞ্জ বিডব্লিউটিএর কলোনীতে বসবাস করে আসছে। তিনি জানায়, দুই বছর পূর্বে অভিযুক্ত লাকী বেগমের নিকট থেকে সে পাঁচ হাজার টাকা ঋন গ্রহণ করে। গত ২ বছরে ঐ টাকার বিপরীতে লাকী বেগমকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রদান করে। এমনকি এক বছর পূর্বে সুদের টাকা পরিশোধে তার নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েও সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে লাকী বেগম। পরবর্তীতে আবার গত বৃহস্পতিবার পুনরায় লাকী বেগম বাদীর বাড়িতে এসে আসল এবং সুদ সহ ১ লাখ ৩ হাজার টাকা দাবি করে অন্যথায় তাকে মারধর করা হবে জানায়। ফতুল্লা থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বাচ্চাট কেনাবাচার সাথে জড়িতের অভিযোগে, পুলিশ মূল হোতা লাকীর বাবা-মা সহ সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন