রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাÐ ঘটেছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বজনদের হাতাহাতি ও সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটেছে। ডাক্তারদের হামলায় রোগীর স্বজনদের মাথা ফেটেছে। হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেয় ডাক্তাররা। হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহসিন আলী (৭৫) এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। মহসিন আলীর বাড়ি পবা উপজেলার মদনহাট এলাকায়। শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। গতকাল দুপুরে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম অপু। তিনি রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি। মহসিন আলীর মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৫) ও আনারুল ইসলাম (২৫) চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তাদের বাবার মৃত্যুর অভিযোগ তুলে ইন্টার্ন চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম অপুসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দায়ি করে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতÐার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা একত্রিত হয়ে মহসিনের স্ত্রী রাহেলা বিবি (৫৫) ও দুই ছেলের ওপর চড়াও হয়। এতে তারা আহত হন। তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত মহসিনের স্বজন শামিম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডাক্তারদের অবহেলায় রোগী মারা গেল, আবার তার প্রতিবাদ করায় ছেলেদের ধরে নিয়ে গেলো পুলিশ। আর এটা কি করে সম্ভব? এমনিতেই তাদের পরিবারে উপরে আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। তার পরে আবার এই অবস্থা। বাবা হাসপাতালের মর্গে আর দুই ছেলেকে আটক করে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। আর মা আহত অবস্থায় পড়ে আছে।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তৌফিক উদ্দিন মোহাম্মদ বেলাল বলেন, ‘রোগির স্বজনদের হাতে লাঞ্ছিত হয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার দাবি তুলেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন