খুলনা ব্যুরো : খুলনা মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠুসহ ছয়জনকে দলীয় কর্মকাÐ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় নগরীর দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রোববার খালিশপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি, পেশিশক্তি ব্যবহার করে অগঠনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টার কারণে মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে খালিশপুরের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি খালিশপুর এলাকায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শনিবার এক বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও খালিশপুর থানা সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠু।
নগর বিএনপির সভায় পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ১৮ নভেম্বর সোনাডাঙ্গা থানা, ১৯ নভেম্বর সদর থানা, ২৪ নভেম্বর দৌলতপুর থানা, ২৫ নভেম্বর খানজাহান আলী থানা ও ২৬ নভেম্বর খালিশপুর থানা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ব নির্ধারিত সময় ২৬ নভেম্বরেই খালিশপুর থানা সম্মেলন সম্পন্ন করতে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিমকে আহŸায়ক ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি স ম আব্দুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।
এস এম আরিফুর রহমান মিঠু দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘বিএনপির মতো গণতন্ত্র চর্চার প্লাটফর্মে (দলে) এমন সিদ্ধান্ত সত্যি দুঃখজনক। খুলনা মহানগরসহ পাঁচ থানা বিএনপির সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি’। এর আগে গত ২৬ অক্টোবর খুলনা মহানগর বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও নগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. গাউসুল আজম দলীয় সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে টানা চারবার নির্বাচিত ওই জনপ্রতিনিধির দীর্ঘ তিন যুগের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা পরিলক্ষিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন