স্টাফ রিপোর্টার : মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে অভিযোগ শুনবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। অপারেটরদের সেবার মান, কল ড্রপ, ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সার্ভিসের বিভিন্ন বান্ডেল প্যাকেজ ও মূল্য সম্পর্কে অভিযোগসহ যে কোন ধরনের অভিযোগই জানাতে পারবেন মোবাইল ফোন গ্রাহকরা। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই সমাধান দেয়া হবে গ্রাহক অভিযোগের। আগামী ২২ নভেম্বর মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ শুনতেই গণশুনানীর আয়োজন করেছে বিটিআরসি। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে প্রথমবারের মতো এই শুনানীতে গ্রাহকদের অভিযোগ শুনে বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, মোবাইল ফোন অপারেটর ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগ সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বশীল পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ প্রশ্নের জবাব দেবেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে মতামত প্রদান করবেন বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোন অপারেটরদের সেবার মান বিশেষ করে কল ড্রপ, ভয়েস কল, ইন্টারনেট সার্ভিস, ইন্টারনেটের বিভিন্ন বান্ডেল প্যাকেজ নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি’র ইমেইল ও ফোনেও গ্রাহকরা তাদের অভিযোগ দিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সমস্যার সমাধান করা হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অভিযোগ অস্বীকার করে মোবাইল ফোন অপারেটররা। তাই বিটিআরসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অপারেটরের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতেই মোবাইল ফোন গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ শুনতে গণশুনানীর আয়োজন করা হয়েছে। এই শুনানীতে যে কোন মোবাইল ফোন গ্রাহক উপস্থিত হয়ে অপারেটরদের মোবাইল ফোনের সেবার বিষয়ে তাদের অভিযোগ করতে পারবেন। তাদের অভিযোগের বিষয়ে বিটিআরসি ও অপারেটরদের শীর্ষ ব্যক্তিরা শুনবেন। যেসব সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব সেগুলো সেখানেই সমাধান করা হবে। অন্য সমস্যাগুলোও দ্রæত সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে বলে বিটিআরসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়। বিটিআরসি’র এক কর্মকর্তা জানান, এতোদিন গ্রাহক ও সেবাদানকারীদের সমস্যা ও সমাধানে বিটিআরসি কাজ করতো। কিন্তু অনেক সমস্যা তারপরও থেকে যেতো। আবার গ্রাহকরা অপারেটরদের বিষয়ে বিভিন্ন সময় সরাসরি অভিযোগ করতে চাইলেও কোন মাধ্যম ছিল না। এবার বিটিআরসি সেই সুযোগই তৈরি করে দিয়েছে। তিনি জানান, এই শুনানীতে অংশ নিয়ে মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপ ও বিভিন্ন প্যাকেজ এবং এর মূল্য সম্পর্কে অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন, সাইবার অপরাধ, মোবাইল ফোনে হুমকী, ফেইসবুক ব্যবহারে নিরাপত্তা, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, মোবাইল অপারেটরদের কলসেন্টারের মাধ্যমে সেবা সংক্রান্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট টেলিকম সেবাপ্রদানকারী লাইসেন্সিদের সেবা সম্পর্কিত বিষয়ে গ্রাহকদের অভিযোগ ও এ সম্পর্কিত মতামত গ্রহণ করা হবে। গণশুনানীতে অংশগ্রহণের জন্য বিটিআরসি’র কল সেন্টারে ফোন করে (শর্ট কোড ২৮২৭) অথবা বিটিআরসি’র ওয়েবসাইটে যঃঃঢ়://িি.িনঃৎপ.মড়া.নফ/ৎবমরংঃৎধঃরড়হ-ভড়ৎস এই নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে আগামী ১৭ নভেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের ফিরতি ইমেইল/এসএমএস/ফোন করে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসি’র সচিব মোঃ সরওয়ার আলম বলেন, মোবাইল সেবা নিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে অনেক অভিযোগ পাই। কিন্তু অপারেটরদের পক্ষ থেকে আবার বলা হয়, তারা আন্তর্জাতিক মানদÐ অনুযায়ী সেবা প্রদান করছেন। তাই এবার আমরা গ্রাহকদের অভিযোগ অপারেটরদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুনতে চাই। এজন্যই এই গণশুনানীর আয়োজন করেছে বিটিআরসি।
শুনানীতে মোবাইল ফোন অপারেটরদের মাঠ পর্যায়ে প্রকৃত সেবা সম্পর্কে জানা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন কমিশনের এই কর্তা ব্যক্তি। তিনি বলেন, ভয়েস কল ও ইন্টারনেট সেবা সম্পর্কে যে কোন অভিযোগই গ্রাহকরা উপস্থিত হয়ে করতে পারবেন এবং অপারেটরদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন