শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লালপুরে থামছে না পুকুর খনন

কমছে কৃষি জমি

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ফসলি জমিতে এক্সেবেটর দিয়ে দিনরাত অবাধে চলছে পুকুর খনন । এতে গত ২ বছরে কৃষি জমির পরিমান কমছে প্রায় ৬০ হেক্টর। বেড়েছে মৎস্য চাষ। পুকুর খনন বন্ধ না হলে স্থায়ী জলাবদ্ধতাসহ কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন,পুকুর কাটায় কমছে কৃষি জমি। মৎস্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী গত দুই বছরে লালপুর উপজেলায় মৎস্য চাষ বেড়েছে ৬০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার বিষম্ভরপুর, দিয়াড়পাড়া, বসন্তপুর বিল, কদিমচিলান, সেকচিলান দুয়ারিয়া মাঠে ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ফসলি জমিতে নতুন করে ৩০টি পুকুর খনন করা হয়েছে। নাটোর জেলায় কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করতে গত ২০১৯ সালের ১২ মে হাইকোর্টে একটি রিট শুনানি শেষে জেলার ৫টি উপজেলার অভ্যন্তরে কৃষি জমিতে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কারীরা বলছেন, তারা প্রশাসনসহ সব মহলকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছেন। মাটিবাহি ট্রাক্টরের মোটা ও ভারী চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। উপজেলা প্রশাসন পুুকুর খনন বন্ধে দুই একটি অভিযান চালালেও তা কোন কাজে আসছে না। ভ্রম্যমাণ আদালত এলাকা থেকে চলে আসার পর পরই শুরু হয় পুকুর খনন।
এদিকে ফসলি জমিতে অবৈধ ভাবে খনন বন্ধের দাবিতে লিখিত অভিযোগ ও গত ২৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাকাবাসী।
নাম প্রাকাশ না করার শর্তে এক্সেবেটর চালক ও পুকুর খননকারীরা বলেন, পুকুর খননের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তি করেই সকলকে ম্যানেজ করেই পুকুর খনন করছেন তারা। আর এই সব মাটি প্রতি গাড়ি সর্বনিম্ন ৫শ থেকে ৮শ টাকায় বিক্রয় করছেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা সুলতানা বলেন, পুকুর কাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে গিয়ে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন