স্টাফ রিপোর্টার : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তির স্থান নেই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছিলেন।
গত শনিবার রাতে রাজারবাগ হোয়াইট হাউজে ভারত থেকে আগত বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সম্মানে এক মতবিনিময় ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কামরুল বলেন, জাতির জনক তিনি স্বপ্ন দেখতেন সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কিন্তু ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ৭১’র পরাজিত শক্তি বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার কার্যক্রম শুরু করে। শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির মূর্ত প্রতীক। তার কাছে কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তির স্থান নেই। ৭১ ও ৭৫’র ঘাতক ও তাদের সহযোগিরা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আর এই সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা করছেন খালেদা জিয়া ও বিএনপি। তিনি বলেন, নাসিরনগরের ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন শেখ হাসিনা তাদের ছাড় দেবেন না। শেখ হাসিনার হাত থেকে তাদের রক্ষা নেই।
তিনি ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতীয় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ আমাদের যেভাবে সহযোগিতা করেছে তাতে প্রমাণ হয়, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণ এক মায়ের দুই সন্তান। বিএনপি জামায়াত দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস ও নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের ঢাকা মহানগরের সভাপতি ইঞ্জি. সহদেব বৈদ্য। এ সময় বক্তব্য রাখেন সুকুমার রঞ্জন ঘোষ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রীতম ঘোষ, আসাম বিধান সভার বিধায়ক ও বিজেপির মুখপাত্র শিলাদীপ্ত দেব, আসামের সাবেক বিধায়ক অজয় দত্ত, আনন্দবাজার পত্রিকার সহকারী সম্পাদক অনমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি গৌরাঙ্গ দে, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সুব্রত চৌধুরীসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন