স্টাফ রিপোর্টার : পূর্বাচলে সরকারি জায়গার গাছ ব্যক্তি মালিকানায় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও কানুনগোসহ আটজনের মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আট আসামি হলোÑ শেরপুর সদরের কানুনগো আবু তাহের, রূপগঞ্জের কানুনগো আব্দুল হালিম ভূইয়া, রাজউকের স্টেট ইন্সপেক্টর মো. জাকের হোসেন, কিশোরগঞ্জের এএলএও মো. মইনুল হক, রাজউকের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান, টঙ্গীর জনৈক আলী আমজাত খান, আব্দুস সালাম খান ও আলী আফজাল খান দুলু। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ আদেশের ফলে ওই আটজনের বিরুদ্ধে মামলা চলতে আইনগত বাধা নেই। এখন তারা চাইলে জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে আদালত মতামত দিয়েছেন।
মামলার নথিতে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম আলী মোল্লা মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে আর্থিক লাভের জন্য একে অপরের সহযোগিতায় রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের কামতা মৌজায় বাস্তবের বেশি গাছ দেখিয়ে এবং খাস জায়গার গাছ ব্যক্তিমালিকানায় দেখিয়ে ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৯৭ টাকা আত্মসাৎ করেন। এরপর ১২ জনের মধ্যে আট আসামির হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিলে আবেদন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন