শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নদী দখল : ১৩ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত -নৌমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখল করে গড়ে উঠা ১৩টি স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে নদীর নাব্য ও স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৩৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তবে উচ্ছেদ অভিযানের সুবিধার্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। ঢাকা শহর বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী পরিবেষ্টিত বলে জানান তিনি।
নৌমন্ত্রী বলেন, নদীর এলাকায় অনেকগুলো স্থাপনা যেগুলো অবৈধভাবে স্থাপিত হয়েছে এবং চিহ্নিত হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদের কাজ শুরু করেছি। তবে আমরা ১৩টি স্থাপনা নির্ধারণ করলাম (সভায়), যেগুলো খুব দ্রুততার সাথে অবিলম্বে অপসারণ করব।
তিনি বলেন, দখলকারীরা যত শক্তিশালী হোক আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালাব। কয়েকটি নামও এসেছে, এ ১৩টির মধ্যে অনেকে হয়তো বড় বড় স্থাপনার মালিক রয়েছেন, সেগুলোকেও কিন্তু আমরা উচ্ছেদ করব।
এ ১৩টি স্থাপনার বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (টাস্কফোর্স) নূর-উর রহমান ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক কোনো তথ্য জানাতে রাজি হননি। তারা জানান, স্থাপনার নামগুলো আগেই প্রকাশিত হলে উচ্ছেদ অভিযানে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, নদীর যে সীমানা পিলারগুলো নিয়ে আপত্তি ছিল সেগুলোর জন্য আমাদের নকশার প্রয়োজন। সেই নকশাগুলো ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। এটা এক সপ্তাহের মধ্যে সব জেলা প্রশাসকদের কাছে আমরা পৌঁছে দেব। খুব শিঘ্রই জেলা প্রশাসকরা এ নকশার ভিত্তিতে নদীর আপত্তিজনক সীমানায় চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন।
ইতোমধ্যে যেসব পিলার নির্ধারিত হয়েছে, এগুলো মধ্যে যেগুলো আপত্তিজনক আমরা সেগুলোর বিষয়ে এক মাসের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেব। সীমানা পিলারকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় নতুন করে অবৈধ দখলের প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, আমরা সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের একটি পরিপত্র জারি করে নির্দেশনা দেব। সেটি হলো পুনরায় জরিপ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সব এলাকায় মাটি ভরাট বা কোনো ধরনের স্থাপনা করা যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, নদীর পাড়ের যে জায়গাগুলোর খাজনা বিআইব্লিউটিএ নিয়ে থাকে, দেখা যায় তহশিল অফিসে গিয়ে এ জমির দাবিদার অনেকে খাজনা দিয়ে থাকে। তাদের খাজনা যাতে না নেয়া হয় সেজন্য তহশিলদারদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হবে। সভায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌপরিবহন সচিব আশোক মাধব রায়সহ টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
selina ১২ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:১৭ পিএম says : 0
Dhaka may be the first capital of the world which is surrounded by four river and also blessed by its natural water flow . khal / canal of Dhaka city needs to recover as CS map .
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন