আজ বুধবার (২০এপ্রিল) ফজরের নামাজের পর থেকেই গফরগাঁও উপজেলাসদরসহ ১৫টি ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে পাকা ও আধাপাকা বোরোধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে । বিভিন্ন গাছপালা উপড়ে পড়ে গেছে । আম ,কাঠাঁল ,লিচুসহ বিভিন্ন ফলের গাছ নষ্ট হয়ে গেছে । এছাড়া বেগুন,শশাসহ হরেক রকমের তরিতরকারি ফসল নষ্ট হওয়ার ফলে কৃষকের ঘরে এখন কান্না ভারি হয়ে উঠেছে । দিঘীরপাড় গ্রামের মোঃ মেহেদী হাসান ওরফে সজিব জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বোরোধানের নজিরবিহীন ক্ষতি হয়েছে । তবে এবার ভাল বোরো ধান হয়েছিল । ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাস করার কিছু নেই । ভোর হতে এরির্পোট লেখা পর্যন্ত (বিকাল ৪টা ২০মিঃ) উপজেলা সদরের বাহিরে ১৫টি ইউনিয়নে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন র্বোড (পিডিবি) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (আরএবি) আওতাভুক্ত এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় ফলে জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে । বিদ্যুৎ না থাকায় রমজান মাসে রান্নাবান্না ও মসজিদ গুলোতে নামাজ আদায় করতে সমস্যা হচ্ছে । গ্রামের দোকান গুলোতে বিদ্যুৎ না থাকায় তাদের সংসারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার । কোন সময়ে বিদ্যুৎ আসতে পারে তা বলতে পারছে না বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মচারীবৃন্দ । গফরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শাহিনা আখতার জানান , ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের এসটি ও এলটি লাইনের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । আমাদের লোকজন পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছে । আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ চালু হয়ে যাবে বলে আশা করছি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন