ঈদকে সামনে রেখে ঝালকাঠিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংড়া পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে সেমাই। এসব সেমাই স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। পাশাপাশি উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে ভোক্তাদের কাছে অধিক দামে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে শহরের কাঠপট্টি এলাকায় কুলসুম সেমাই তৈরি কারখানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ইন্দানী দাসের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ইন্দানী দাস জানান, কারখানায় সেমাই তৈরির তেলের মধ্যে অসংখ্য তেলাপোকা মরে পড়ে আছে। সেমাইয়ের মধ্যেও তেলাপোকা ও মাছি পাওয়া গেছে। এছাড়াও কারখানায় মালিক-শ্রমিক কেউই স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। মাস্ক, গ্লাভস কিংবা এপ্রন ছারাই নোংরা ও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে শ্রমিকরা সেমাই তৈরি করছে। তাদের গায়ের ঘাম, ময়লা আর চার পাশের ধূলো-বালি মিশে যাচ্ছে সেমাইয়ে। তিনি আরও জানান, ২০০ গ্রামের সেমাইয়ের প্যাকেট পাইকারি ২২ টাকায় বিক্রি করলেও প্যাকেটের গায়ে ৩৫ টাকা লেখা রয়েছে। উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে অধিক মূল্যে ভোক্তাদের কাছে সেমাই বিক্রি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে কুলসুম সেমাই কারখানার মালিক সাখাওয়াত হোসেনকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে শহরের মুদিপট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল কসমেটিকস বিক্রির অপরাধে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিককে তিন হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন