রাজশাহীর তিন কিশোর খেলোয়াড় অধিকতর উন্নত প্রশিক্ষণ নিতে ফুটবলের তীর্থভূমি ব্রাজিলে যাচ্ছে । অনূর্ধ্ব-১৭ এর খেলোয়াড় হিসেবে সারাদেশ থেকে দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে ১৫ ফুটবলার। তাদের মধ্যে সেরা ১১ জনের তিনজন রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার খেলোয়াড়।
গতকাল জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আব্দুল জলিল এই তিন তরুণ ফুটবলারের প্রশিক্ষণের সুবিধার্থে নিজ কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুন নবী অনু, জেলা ক্রীড়া অফিসার জাহাঙ্গির হোসেন।
উল্লেখ্য, অনূর্ধ্ব-১৭ ক্যাটাগরিতে অধিকতর উন্নত প্রশিক্ষণ নিতে ব্রাজিলে যাওয়ার উদ্দেশে সারাদেশ থেকে ৪০ জন খেলোয়াড় একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৫ জন বাছাই করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার তিনজন। রাজশাহীর এই তিন খেলোয়াড় হলো, রাজশাহী মহানগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকার ফরহাদ, মোহনপুর উপজেলার ধুরইল এলাকার আবির হাসান এবং পুঠিয়া উপজেলার ধোকড়াকুল এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিবাস কুজুর।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবল খেলাধুলাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশ থেকে মাত্র ১৫ জন ফুটবলারকে ব্রাজিল যাওয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সেরা ১১ জনের তিনজন রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার। এ অর্জন রাজশাহীর তরুণ ফুটবলারদের আনন্দিত ও উৎসাহিত করেছে। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের মধ্যেও আমরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সাময়িকভাবে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের প্র্যাকটিস করার সুযোগ করে দিয়েছি। আর এ সকল উদ্যোগই সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে ক্রীড়া প্রেমী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও সার্বিক দিক নির্দেশনায়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সফলতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আমাদের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে, এই সংস্থার মাধ্যমে দেশে ভালমানের খেলোয়াড় তৈরিতে ভূমিকা রাখা। সেই চেষ্টা নিয়েই দীর্ঘদিন গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসক একজন ক্রীড়ামোদী মানুষ। তিনি শত ব্যস্ততার মাঝেও সবসময় খোঁজখবর রাখেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ফুটবল খেলাকে ধরে রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমাদের সংস্থার ক্ষুদে খেলোয়াড়দের সঠিক যাচাই-বাছাইয়ে মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হয়। তাই ফরহাদ, আবির ও নিবাসের মতো ভালো খেলোয়াড় খুঁজে পেয়েছি। তাঁরা উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য ব্রাজিলে যাচ্ছে শুনে বেশ ভালো লাগছে। আমাদের এখন একটাই চাওয়া, তাঁরা যেন জাতীয় পর্যায়ে জায়গা করে নিয়ে দেশের মুখ উজ্জল করতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন