চট্টগ্রামের পটিয়ায় তারাবী নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে কাশিয়াইশ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছোট ভাই মোহাম্মদ সোহেল। গত শুক্রবার রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মো. সাজ্জাদ, সাদ্দাম হোসেন ও জয়নাল আবেদীন নামে আরো ৩ জন আহত হয়। নিহত সোহেল কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের আপন ভাগিনা। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার মনছুর আলম ও জনি নামের ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চতুর্থবারে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে আবুল কাশেমকে আ.লীগ থেকে মনোনয়ন দেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী কায়েছ। নির্বাচন শুরু থেকে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার বাদ জুমা সোহেলসহ কয়েকজন স্থানীয় মো. শরীফকে মারধর করে। এ ঘটনা নিয়ে ক্ষুদ্ধ ছিল শরীফ। রাত ১০টায় শরীফ শান্তিরহাট যাওয়ার সময় নিহত সোহেল বুধপুরা বাজারে শরীফকে দেখতে পায়। এতে উভয়ের মধ্যে পুনরায় বাকবিতণ্ড শুরু হয়। এক পর্যায়ে শরীফ সোহেলসহ ৪ জনকে এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, নিবার্চনে বিজয়ী চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল, ভোট ডাকাতি ও অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ এনে কাজী কায়েছ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগসহ হাইকোর্টে একটি রিটপিটিশন দায়ের করে। এতে হাইকোর্ট রুল জারী করে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের শপথ গ্রহণের উপর ৪ সপ্তাহের স্থগিত আদেশ দেন। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘাতক মো. শরীফের পিতা মনছুর আলম ও তার বাড়ির জনি নামের একজনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন