ঈদ ঘনিয়ে আসায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার এবং মাঝিকান্দি নৌরুটে। ঘাট এলাকায় ফেরি স্বল্পতা এবারের ঈদ যাত্রায় বেড়েছে যাত্রীদের ভোগান্তি। তাই ফেরি সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন এই নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।
গত বছর এ রুটে ১৭টি ফেরি ছিলো এ বছর চালু আছে মাত্র ৬টি ফেরি। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল ফিতরে বাড়তি যানবাহনের চাপে চড়ম ভোগান্তির আশঙ্কা করছে এই নৌরুটে যাতায়তকারীদের।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসায় ঘাট এলাকায় বেড়েছে যাত্রী ও ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহনের চাপ। তাই যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে এ নৌরুটে মানুষ ও হালকা যানবাহন পারাপারে আরও ৪টি ফেরি সংখ্যা বাড়ানোর হবে।
এতে বহরের ফেরির সংখ্যা দাড়াবে দশে। এরমধ্যেই ১টি মিডিয়াম ফেরি ক্যামেলিয়া বহরে যুক্ত হয়েছে।
আজ রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই ঘাট এলাকার পার্কিং ইয়ারে পারাপারের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে লঞ্চ ও স্পিড বোর্ড ঘাটেও।
এছাড়াও ঘাট এলাকায় ৮৭টি লঞ্চ ও ১৫৩টি স্পিড বোর্ড দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাত্রী পারাপার। সেখানেও প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যাত্রীদের ভিড়।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে ঈদে ফেরি থাকবে ১০টি। ৬টি চালুর পাশাপাশি আরো ৪টি যুক্ত করা হবে। এরুটে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচলের জন্য আমরা সেতু কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। আশা করছি এটি অনুমোদন হবে। সেক্ষেত্রে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং শিমুলিয়া মাঝিকান্দি নৌরুটে ২৪ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করবে। এই নৌরুটে যেহেতু শুধুমাত্র ছোট গাড়ি পার হবে সেক্ষেত্রে ১০টি ফেরি পর্যাপ্ত মনে হয়।
তিনি আরো বলেন, যাত্রীসাধারণের সুবিধার্থে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে রাত দশটা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে। এবং শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি থেকে ২৪ ঘণ্টাই লঞ্চ চলাচল করবে। লঞ্চ মালিকদের বলা হয়েছে যেন লঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে।
আশিকুজ্জামান আরো জানান, নতুন চারটি ফেরি আগামী মঙ্গলবারের (২৬ এপ্রিল) মধ্যে ডকইয়ার্ড থেকে এন বহরে যুক্ত করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী বুধ বৃহস্পতিবার থেকেই ঘাটে যাত্রীদের চাপ শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন