শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

নোংরা পরিবেশ হ্যান্ডিতে, হাইওয়ে সুইটসের মিষ্টিতে মশা-মাছি

প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো  : যে রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন ভোজন রসিকরা, তার রান্নাঘরের খবর কী তারা জানেন। নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন এলাকার সে অভিজাত রেস্টুরেন্ট হ্যান্ডির হাড়ির খবর বের করে এনেছে র‌্যাব। সেখানে নোংরা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে তৈরি হয় খাবার।
র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই রেস্তোরাঁকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মো: সোহেল মাহমুদসহ র‌্যাবের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রোববার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা যায়, হ্যান্ডির রান্নাঘরের পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। কিচেনের কর্মিরা কোনো প্রকার হ্যান্ড গ্লাভস ছাড়াই খালি হাতে খাবার প্রস্তুত করছে। এ সময় কয়েকটি ফ্রিজে বেশ পুরাতন নোংরা মশলা এবং অন্যান্য রান্নার উপকরণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ক্যাশম্যামো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আধা লিটার একটি মাম পানির বোতলের দাম (যার গায়ে খুচরা মূল্য লেখা ১৫ টাকা) রাখা হচ্ছে ২০ টাকা। নোংরা পরিবেশে খাবার প্রস্তুত, সংরক্ষণ এবং দ্রব্যমূল্যের দাম বেশি রাখায় আদালত হ্যান্ডির মালিক মো: মহিউদ্দিন আল রিয়াজকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ম্যানেজার জালাল উদ্দিনকে এক লাখ টাকাসহ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এদিকে নগরীর অভিজাত হাইওয়ে সুইটস মিষ্টির কারখানায় গিয়ে চোখ কপালে ওঠে ভ্রাম্যমাণ আদালতের।
আদালত হাইওয়ে সুইটসের কারখানায় অত্যন্ত নোংরা, অপরিচ্ছন্ন এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করে সংরক্ষণ করার প্রমাণ পান। এই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি এবং সংরক্ষণের কারণে ম্যানেজার কৃষ্ণদল মজুমদারকে দুই লাখ টাকা এবং হিসাবরক্ষক প্রদীপ কুমার বড়ুয়াকে এক লাখ টাকাসহ তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপর দিকে, একই আদালতে কিষোয়ান স্ন্যাকস লিমিটেড, ফ্যাশন ফুড এবং কুপার্স বেকারিকে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত নাসিরাবাদের বিসিক শিল্পনগরীতে কিষোয়ান বেকারির কারখানায় দেখতে পায় অত্যন্ত নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। এসব অপরাধে কিষোয়ান স্ন্যাকস লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক কাজী আসাদুজ্জামান, জেনারেল ম্যানেজার মো: কপিল উদ্দিন চৌধুরী, ফ্লোর ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মো: সাইদুজ্জামানকে এক লাখ টাকা করে মোট চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পশ্চিম নাসিরাবাদের ফ্যাশন ফুড বিএসটিআইর লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে বেকারি সামগ্রী উৎপাদন ও বিক্রি করছে। ফ্যাশন ফুডের মালিক সৈয়দ আব্দুল কাদের জিলানীকে তিন লাখ টাকা এবং ম্যানেজার মো: মাইনুদ্দিনকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দামপাড়ার সিডিএ এভিনিউর কুপার্স বেকারিও বিএসটিআইর লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে কেক তৈরির অপরাধে ম্যানেজার মলয় বড়ুয়া এবং বিক্রয় প্রতিনিধি ফারহান চৌধুরীকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন