রাজধানীর মিরপুরে গৃহবধূ লিপি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। স্ত্রী লিপিকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আবজাল মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম। গত রোববার রাজধানীর বিমানবন্দর কাওলা রেলগেট এলাকার সাঈদ মিয়ার হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার এসব তথ্য জানান।
মানস কুমার পোদ্দার বলেন, আবজাল মোল্লা ও ভিকটিম লিপি খাতুন উভয়ের ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। আট বছর আগে আবজাল মোল্লার সঙ্গে ভিকটিম লিপি খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সাংসারিক জীবনে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ে সন্তানের বাবা ভিকটিম লিপি খাতুনের প্রথম স্বামী। আবজাল ও লিপি গত দুই বছর ধরে মিরপুর উত্তর পীরেরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। বিয়ের পর থেকে অভিযুক্ত আবজাল ভিকটিম লিপিকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধরসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ এপ্রিল আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় ভিকটিম লিপির মেয়ে গার্মেন্টস থেকে কাজ শেষে বাসায় ফিরে দেখে ভিকটিমের ওড়নার এক প্রান্ত দিয়ে তার গলায় একাধিক গিট দেওয়া ও অপর প্রান্ত মুখের ওপর দেওয়া এবং দরজা খোলা। পরে ভিকটিমের মেয়ে তার মায়ের মুখের ওড়না সরালে নাক ও মুখ রক্তাক্তসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পায়। প্রাথমিকভাবে পরিবারের ধারণা গ্রেফতার আবজাল লিপিকে মারধর করে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে কোথাও চলে গেছে।
আবজালকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আবজাল ও ভিকটিম লিপির মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। ঘটনার দিন কলহের এক পর্যায়ে আবজাল লিপিকে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এছাড়া আবজাল নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে জানায়। আসামির বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান মানস কুমার পোদ্দার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন