ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ২৪ এপ্রিল ফ্রান্সের পুনরায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জাতীয়তাবাদী-জনতাবাদী মেরিন লা পেনকে ৫৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটে পরাজিত করেন। ম্যাখোঁ হলেন প্রথম বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্ট যিনি ২০ বছর ধরে পুনর্র্নিবাচিত হয়ে আসছেন। তিনি এখন দেশটির একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রেখে সরাসরি সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন। এ ফলাফল শুধু ম্যাখোঁর ব্যক্তিগত জয়ই নয়, এটি জনতাবাদী শক্তির ওপর বর্ণবাদী ইউরোপপন্থী রাজনীতিরও বিজয়।
নিজেকে জনগণের কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রচারকারী লেিপন ফ্রান্সের গ্রামীণ এবং আধা-গ্রামীণ এলাকা এবং শিল্প পতনের কবলে পড়া স্থানগুলোর ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ম্যাখোঁর একটি জোরালো প্রচারণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যেখানে তার ভোট সবচেয়ে শক্তিশালী। তিনি জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন, যা ভোটারদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল। কিস্তু নির্বাচনী বিতর্কে ম্যাখোঁ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের রাশিয়ার সাথে লা পেনের যোগসূত্রীতার দাবি করেন এবং ২০১৪ সালে একটি রাশিয়ান ব্যাংকে লা পেনের দলের একটি বকেয়া ঋণের কারণে পুতিনকে পেনের ব্যাঙ্কার বলে অভিহিত করেন। শেষ পর্যন্ত ভোটাররা, বিশেষ করে যেসব বামপন্থীরা ম্যাখোঁকে অপছন্দ করেন এবং ১০ এপ্রিল প্রথম রাউন্ডে তাকে সমর্থন করেননি, শুধুমাত্র পেনকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে তারা ম্যাখোঁকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন।
ম্যাখোঁর বিজয় অবধারিত ছিল, তবে এটি সতর্কবার্তাও বহন করছে। প্রাক্তন পরিবেশবাদী, সমাজবাদী, কেন্দ্রবাদী এবং উগ্রপন্থী রিপাবলিকানদের সমন্বয়ে ব্যতিক্রমীভাবে বিস্তৃত সরকার গঠনে ম্যাখোঁর সাফল্যের নেতিবাচক দিক হ’ল, এরা সবাই চরমবর্ণবাদী রূপে আবির্ভূত হয়েছে। তাই যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিভাগ অঞ্চল এবং পশ্চিমা জোট তার বিজয়ে স্বস্তির নিশ^াস ফেলেছে, কিন্তু তা বাকিদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদ ও সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘাতের আশঙ্কা নিয়ে এসেছে। সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন