খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জিরোপয়েন্ট থেকে গল্লামারী পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত সড়ক ডিভাইডার, দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজ, ড্রেন কাম ফুটপাথ নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১১টায় নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন খুবি ভিসি প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে সড়ক ডিভাইডার দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়ার সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় স্পেস রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট, আইইআর, বিপরীতে সরকারি দেলদার আহমেদ স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার ও আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের পারাপারে একটি সুবিধা সৃষ্টির বিষয়টি উল্লেখ করেন। একইসাথে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রস্তাবিত ফুটওভার ব্রিজ এবং ড্রেন কাম ফুটপাথ নির্মাণের অগ্রগতি সম্পর্কেও জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সভায় চলমান জিরোপয়েন্ট থেকে গল্লামারী চার লেন প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় স্পেস রেখেই রোড ডিভাইডার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটে একটি স্পেসে নড়াচড়াযোগ্য ডিভাইডার দিয়ে শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন প্রবেশ ও বের হওয়ার সুযোগ রাখা এবং বিপরীতমুখী দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পারাপারের বিষয় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রাসঙ্গিক আলোচনায় তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে প্রস্তাবিত দৃষ্টিনন্দন ফুটওভার ব্রিজে উঠানামা সহজ করার জন্য সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এর দিক-নির্দেশনা মোতাবেক চলন্ত সিঁড়ি সংযোজন করা হচ্ছে। ফলে এর ডিজাইন সংশোধন ও সংযোজন করতে যেয়ে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে ফুটওভার ব্রিজটির নির্মাণকাজ আগামী অর্থবছরে শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া চলমান এ প্রকল্পটি সংশোধিত প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে প্রেরণ করা হয়েছে। যা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে তিনি আশা করেন আগামী জুন মাসের মধ্যে জিরোপয়েন্ট থেকে ময়লাপোতা পর্যন্ত কালভার্টসহ প্রথমস্তর কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হবে এবং যার ফলে যানবাহন চলাচলের পথ সুগম হবে।
তিনি আরও জানান, জিরোপয়েন্টকে দৃষ্টিনন্দন করার ব্যাপারে অর্থ অনুমোদন হয়েছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে জিরোপয়েন্টকে ঘিরে শহরের প্রবেশমুখী এই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দৃষ্টিনন্দন করার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন