নেছারাবাদে সয়াবিন তেলের বাজারে চরম অস্থথিরতা বিরাজ করছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনলে সাথে নিতে হচ্ছে বাধ্যতামুলক চা পাতা অথবা আটা মুড়ি। তীর মার্কা বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেল কিনলে সাথে নিতে হবে ১০০ গ্রাম প্যাকেটজাত চা পাতা। কি ভাবছেন তেলের সাথে চা পাতা ফ্রী? না ১৬৮ টাকা দিয়ে ওই তেল কিনে সাথে বাধ্যতামুলক ৬০ টাকা দিয়ে নিতে হবে ওই চা পাতা। শুধু তীর নয়। বসুন্ধরা,ফ্রেস তারাও শুরু করেছে এরকম বাজারজাত ব্যবস্থা। তাদের কোম্পানির তেল কিনলেও সাথে ক্রেতাকে বাধ্যতামুল জুড়ে দিচ্ছেন সরিষার তেল, আটা কেউবা আবার প্যাকেটজাত মুড়ি। খুচরা দোকানিরা ক্রেতাকে তেল দিয়ে সাথে বাধ্যতামুলক কোন পন্য ধরিয়ে দিলেই শুরু হয় ক্রেতা দোকানির বাকবিতন্ডতা। তাই ঝামেলা এড়াতে বাজারের হাতে গোনা দু'চারটি দোকান বাদে সবাই ২০০ টাকা কেজি ধরে সয়াবিন বিক্রি করছেন খুব কম পরিসরে। আবার কোন কোন দোকান থেকে উদাও হয়ে গেছে সয়াবিন তেল। দোকানিরা বলছেন চাহিদার তুলনায় সরবারহ কম। একারনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে উপজেলার সয়াবিনতেল বাজারে।
উপজেলার উত্তর জগন্নাথকাঠি বাজারের আমপট্টির মুদি দোকানি মো: সেলিম অভিযোগ করে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের আট পিসের ৫ লিটারের ২ কার্টন সয়াবিনতেল কিনলে ডিলার সাথে জুড়ে দিচ্ছেন ২৪ কেজি ওজনের দুই বস্তা আটা। একইসাথে ১ বস্তা মুড়ি ও বসুন্ধরা নুডুলস। তিনি বলেন সেই তেলও কিনতে হবে বডি রেটে। তিনি বলেন, আমি বডি রেটে তেল কিনে ক্রেতার কাছে কতদামে বিক্রি করবো তা ভেবে পাচ্ছিনা। তাই নতুন করে আর তেল কিনছিনা। তিনি আরো বলেন, এই রমজানে ৫ লিটার ওজনের আট পিস তেল কিনে আটা নিয়ে আমি কি করব। এখনতো কেউ আটা খাচ্ছেনা। এমনিতেই দোকানে আটা বোজাই।
মুদিপট্টি তরকারি বাজার রোডে অবস্থিত কেসব সাহা ষ্টোর অভিযোগ করে বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের অনেক চাহিদা। পাইক্রারি ক্রেতাদের কাছ থেকে বোতলজাত তেল কিনলে আটা,মুড়ি,চা পাতা,সরিষার তেল জুড়ে দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে খুচরা ক্রেতাদের সাথে নানান ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই বোতলের তেল বিক্রি করছিনা। ২০০ টাকা কেজি ধরে খোলা তেল বিক্রি করছি। কারো পছন্দ হলে নিবে না নিলে কিছু করার নেই।
মাছ বাজার এলাকার কাজী ষ্টোর বলেন, বোটতজাত তেল ফুরিয়ে গেছে। এই খোলা তেল বিক্রি করছি। কারো প্রয়োজন পড়লে নিতেই হবে। বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করে ঝামেলায় জড়াতে চাইনা।
মেঘনা গ্রুপের ফ্রেসের ডিলার ব্যবসায়ি আবুল কালাম বলেন, আমি ডিলারি ব্যবসার সাথে বাজারের একজন মুদি দোকানদার। বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকা স্বত্ত্বেও কোম্পানির কাছ থেকে সয়াবিন পাচ্ছিনা। যা পাচ্ছি তাতে সাথে জুড়ে দেয়া হচ্ছে বাজারের স্লো আইটেমের প্রডাক্ট। তাছাড়া আমি দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির তেল বিক্রি করি। তাদের তেল কিনলেই সাথে বাধ্যতামুলক নিতে হচ্ছে চা পাতা,মুড়ি,আটা নানান স্লো প্রোডাক্র। আমরা কি করব বলেন।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মোসারেফ হোসেন বলেন, পুরো রমজান জুড়ে আমরা বাজার মনিটারিং করছি। সয়াবিন তেলের ব্যপারে এখন পর্যন্ত কেহ কোন অভিযোগ করেনি।তারপরও আবারো বাজারে নেমে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে। কোন অসাদু ব্যবসায়িকে নূন্যতম কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন