বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষিজমির সেচ ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেছেন নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রী পাম্পা ভুসাল। তাঁর সঙ্গে নেপালের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দলও ছিলেন। বুধবার সকালে তাঁরা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ছলং গ্রামে গিয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) একটি গভীর নলকূপ পরিদর্শন করেন।
এই গভীর নলকূপের মাধ্যমে বিএমডিএ কীভাবে ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলছে, কৃষক কীভাবে প্রিপেইড মিটারের সাহায্যে পানি নিচ্ছেন, কীভাবে তা কৃষকের জমিতে যাচ্ছে তার সবই দেখে ১০ সদস্যের এই নেপালি প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া বিএমডিএ’র গভীর নলকূপে তোলা পানি কীভাবে পাইপলাইনে খাবার জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে তারা সেটিও দেখেন।
পরে তারা গোদাগাড়ীর আমতলী এবং সরমংলা খাল পরিদর্শন করেন। এরপর সরমংলা খালের পাড়ে তারা এসব বিষয়ে বিএমডিএ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমডিএর চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান। সভায় বিএমডিএ’র ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা নেপালের কর্মকর্তাদের বরেন্দ্র অঞ্চলের সেচ ব্যবস্থাপনার সার্বিক দিক বুঝিয়ে দেন।
এ সময় নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবেন্দ্র কারকি, জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সুরেন্দ্র লাভ কর্ণ, জলসম্পদ ও সেচ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সুশীল চন্দ্র আচার্য, নেপালের যান্ত্রিক সেচ উদ্ভাবন প্রকল্পের পরিচালক দীপেন্দ্র লৌদারি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি দিল বাহাদুর ছেত্রী, মন্ত্রণালয়ের সেকশন পবিত্র গাইরে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর পুষ্কর শ্রীবাস্তব, ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার আলুমগীর আকন্দরা, জলসম্পদ বিশেষজ্ঞ মিসেস মারিয়া ল’হোস্টিস, নেপাল রেসিডেন্ট মিশনের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার অরুণ রানা, এডিবির কনসালেন্ট আশীষ ভদ্র খল ও পরামর্শক ড. আসাদুজ্জামান। #
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন