বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জমজমাট ঈদ বাজার

চট্টগ্রামে রাতে দিনে খোলা শপিংমল বিপণি বিতান হকার্স মার্কেট

রফিকুল ইসলাম সেলিম : | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৫ এএম

শেষ সময়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের ঈদ বাজার। শপিংমল, বিপণি বিতান থেকে শুরু করে হকার্স মার্কেট ও ফুটপাতের পসরায় ক্রেতার ঢল। রাতে দিনে ২৪ ঘণ্টা খোলা মার্কেট, শপিংমলে দম ফেলানোর ফুসরত নেই বিক্রেতাদের। ক্রেতাদের পদভারে মুখরিত সব মার্কেট। এ অবস্থা চাঁদ রাত পর্যন্ত বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
টানা দুই বছর করোনালকডাউনের কারণে নগরবাসী ঈদে কেনাকাটা করতে পারেননি। মার্কেট বিপণিকেন্দ্র বন্ধ থাকায় লোকসান গুণেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার চিরচেনা রূপে ফিরেছে চট্টগ্রামের ঈদ বাজার। অভিজাত শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানেও ক্রেতার ভিড়। কেনাকাটাও বেশ জমজমাট। রাতে দিনে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে মার্কেট। ক্রেতারাও যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। রাত যত গভীর হয় তত জমে উঠে কেনাবেচা। রাতভর মার্কেট থেকে মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। আলো ঝলমল মার্কেট, শপিংমলে অন্যরকম এক উৎসবের আমেজ। বড় বড় মার্কেটের আশপাশে সড়ক, অলিগলিতেও বসেছে পণ্যের পসরা। গোটা নগরীই যেন ঈদ বাজার।
নগরীর ঐতিহ্যবাহী নিউমার্কেট ও রেয়াজুদ্দিন বাজারে তিলধারণের ঠাঁই নেই। ক্রেতার ভিড়ে পা রাখার জো নেই। বিক্রেতারা মহাব্যস্ত ক্রেতাদের নিয়ে। ক্রেতারাও পছন্দের জিনিসটি কিনে নিচ্ছেন। শুরুতে দামদর করা হলেও এখন যেন তাও করার সময় নেই। বিক্রেতারাও ন্যায্যমূল্যে পণ্য ছেড়ে দিচ্ছেন। আর ক্রেতারাও সাধ্যের মধ্যে পণ্য কিনতে পেরে সন্তুষ্ট। এর ফলে বেচাকেনায় নতুন গতি এসেছে। অভিজাত শপিংমলগুলোতেও ক্রেতার প্রচণ্ড ভিড়। নগরীর সানমার ওশ্যান সিটি, ফিনলে স্কয়ার, মিমি সুপার, আফমি প্লাজা, বালি আর্কেড, আমিন সেন্টার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, কেয়ারিসহ সব মার্কেটে উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতারা পছন্দের জিনিসটি কিনে নিতে এসব মার্কেটে ভিড় করছেন। সাধারণ মার্কেটগুলোতেও ক্রেতার কমতি নেই।
সবচেয়ে ভিড় নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটে। মার্কেটের প্রতিটি গলিতে প্রচণ্ড ভিড়। ভিড় ঠেলে দোকান পর্যন্ত পৌঁছতে ক্রেতাদের গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। হাঁপিয়ে উঠেছেন বিক্রেতারাও। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে রাত দিন ক্রেতা সমাগম ঘটছে। আর বেচাবিক্রিও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। বেলা ১১টা থেকে বাড়তে থাকে ক্রেতার ভিড়, চলে সেহেরির আগ পর্যন্ত। সন্ধ্যায় ইফতারির সময় কিছুটা ভিড় কম থাকে। প্রায় প্রতিটি দোকানে ক্রেতার চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সুযোগে শিক্ষার্থী ও তরুণ বেকারদের সাময়িক কর্মসংস্থান হয়েছে। হকার্স মার্কেটে মধ্যবিত্ত ছাড়াও সব শ্রেণির ক্রেতারা ভিড় করছেন। প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, শিশুদের পোশাক থেকে শুরু করে সবকিছু মিলছে সেখানে।
হকার্স মার্কেটের পাশাপাশি নগরীর ফুটপাতের পসরাগুলোতেও জমজমাট বিকিকিনি চলছে। স্বল্প ও নিম্ন আয়ের লোকজন এখানে তাদের ঈদের কেনাকাটা সারছেন। নগরীর নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, আগ্রাবাদ, ইপিজেড মোড়, বন্দরটিলা, কাটগড়, স্টিল, মিল, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, জিইসি মোড়, মুরাদপুর, এ কে খান, সাগরিকা, অলংকারসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে হরেক পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। পোশাকের পাশাপাশি জুতা, কসমেটিকসের দোকানেও জমজমাট বেচাকেনা চলছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন