রুহুল আমিন, মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন মহলে শ্রমজীবী মানুষের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় নেটিজনরা। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিভিন্ন মন্তব্য করে অসংখ্য মানুষ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
জানা যায়, মহান মে দিবস আজ। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের রক্তঝরা দিন। একই সঙ্গে তাদের আন্তর্জাতিক সংহতির দিন। প্রতিবছর ১ মে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এক বার্তায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ফেসবুকে ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. আকতার হোসেন বলেছেন, মানব সভ্যতার নির্মাতা শ্রমিকরাই। সব শোষণের অবসান ঘটিয়ে তারাই হোক আগামীর বিশ্বের ক্ষমতার চালিকাশক্তি। সবার প্রতি মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা।
আলামিন নামে এক ছাত্রলীগের কর্মী লিখেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো শ্রমিক দ্বারা কাজ করিয়ে তার পারিশ্রমিক পরিশোধ না করবে, কেয়ামত দিবসে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তার বিরুদ্ধে বাদী হবেন।’
হামাদুল্লাহ আল মেহেদী নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী এ সঙ্কটময় সময়ে মহান মে দিবসে অবহেলিত শ্রমিকদের চাকরি, নিরাপত্তা ও খাবারের নিশ্চয়তা চাই।
ইউসুফ নামে এক সাংবাদিক লিখেছেন, বর্তমানে কিছু মিডিয়া হাউজ কোনো কারণ ছাড়াই সাংবাদিকদের বিভিন্ন সময় চাকরিচ্যুত করে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক নেতারা আদৌ কোনো ব্যবস্থা নিতে পেরেছেন।
এছাড়া শঙ্কর শীল, আরিফ সবুজ, মাজহার মাহবুব, ফিরোজ হোসাইন, শাকিল, আতিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ ইউনুসসহ আরো অনেকইে এ ব্যাপারে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন