ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমন বিলাসীদের ঢল নেমেছে। যমুনার সৌন্দর্য, সূর্যাস্ত ও বঙ্গবন্ধু সেতু দেখার জন্য দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে। ঈদের দিন (মঙ্গলবার) দুপুর থেকে বিনোদন প্রেয়সীরা এই নদীর পাড়ে ভিড় করছেন। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন তার পরিবার পরিজন নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন যমুনা নদীর তীরে বেড়াতে আসছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রান্ত পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা নৌকায় চড়ে যমুনার সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন। নদীতে রেল সেতুর কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন রকমের জাহাজ, বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচ দিয়ে চলন্ত নৌকায় ঘুরে বেড়ানো আনন্দ কয়েক ধাপে বাড়িয়ে দিয়েছে দর্শনার্থীদের।
দীর্ঘ দুই বছর করোনার কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় এবার পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছেন তারা। নৌকা দিয়ে উপভোগ করছেন যমুনার অপার সৌন্দর্য। একদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর সৌন্দয্য ও পাশেই নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজ। রেল সেতুর কাজকে কেন্দ্র করে নদীতে ছোট বড় জাহাজ রয়েছে। এতে সৌন্দর্য্য আরো বেড়েছে। এতে নদীতে ২০ মিনিট ঘুরতে জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে ৫০ টাকা করে।
ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়ানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর যমুনা নদীর পাড় এলাকাটি খুবই সুন্দর। ইচ্ছে করলে কেউ নৌকা নিয়ে রেল সেতুর কাজ দেখার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সেতু খুব কাছ থেকে দেখতে পারছে। এছাড়া রেলসেতু কাজের জন্য নদীতে রাখা জাহাজগুলো সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে যমুনা নদীর পাড়ে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে পারলে সরকার যেমন রাজস্ব পাবে তেমনি মানুষজন নিরাপদে বেড়াতে পারবে।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ মো, ফজলুল হক মল্লিক বলেন, যমুনা নদীর পাড়ে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নৌপথসহ দর্শনার্থীদের যাতে কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সেই লক্ষে কাজ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন