বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

তুলসিপাতার গুণাগুণ

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২২, ১২:০৬ এএম

তুলসির পাতা প্রাচীনকাল হতে বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহƒত হয়ে আসছে। তুলসি প্রচুর অক্সিজেন উৎপন্ন করে এবং এ গাছের চারপাশে স^াস্থ্য স¤মত পরিবেশ সৃষ্টি করে। তুলসি তিন প্রকার (১) কালো (২) সাদা ও (৩) বনতুলসি। তুলসি বাঙ্গালীর হিন্দু সমাজ পবিত্র মনে করে এবং বিভিন্ন পূজা পার্বনেও এর বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

বদহজম বা অজীর্ণ রোগে তুলসি পাতা অপরিহার্য। কয়েকটি তুলসি পাতা বেটে ৩/৪টি গোলমরিচ গুড়ো করে থেলে বদহজম দূর হয়।

১. তুলসিপাতা বেটে ১০ গ্রামের বড়ি বানিয়ে দৈনিক ১/২ বার খেলে দুর্বলব্যক্তি শরীরে শক্তি ফিরে পাবেন।
২. তুলসি পাতার রস, কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে সামান্য দুধ মিশিয়ে দিনে ৩/৪ বার লাগালে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে শরীরের সাদা দাগ দূর হয়। খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে বা বিষাক্ত ফল খেলে কিংবা বিষ খেয়ে ফেললে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তুলসির রস খাওয়ালে মৃত্যুর হাত থেকে রোগীকে রক্ষা করা যায়।
৩. তুলসি পাতার রস ছোট চামচ দিয়ে ৫ চামচ এর সাথে অথবা চামক মিছরি মিলিয়ে রোজ ৩/৪ বার খেলে ব্যথা কমে যায়।

৪. চোখ উঠলে তুলসি পাতার রস দিনে ৩/৪ বার ব্যবহার করলে চোখের যন্ত্রণা কমে যায়।
৫. শরীরে বিশেষ করে মুখে কালো দাগ থাকলে কালো তুলসির রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে কালো দাগে ৭/৮ দিন ২/৩ বার করে লাগালে কালো দাগ উঠে যায়।
৬. ২৫ গ্রাম তুলসি পাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মিশ্রির গুড়ো মিশিয়ে ক’দিন দিনে ৩ বার করে খেলে ফল পাওয়া যায়।

৭. ঘনঘন বমি হলে তুলসির রস এবং মধু সম পরিমাণে মিশিয়ে খেলে শীঘ্রই বমি বন্ধ হয়ে যায়।
৮. যকৃত বৃদ্ধি বা যকৃতে কোন ও রোগ হলে তুলসির পাতা সিদ্ধ করে ঐ পানি ঠান্ডা করে খেলে উপকার হয়।
৯. এ রোগে আদার রসের সঙ্গে সমপরিমাণে মধু এবং কালো তুলসির রস সকাল-বিকাল ২/৩ চামচ করে খেলে কিছু দিনের মধ্যে এ রোগ ভাল হয়।

১০. কান পাকলে তুলসি পাতার রস সামান্য গরম করে কানে দিলে কান পাকা ভাল হয়।
১১. তুলসি পাতার রস এবং আমলকি বেটে আধঘন্টা মাথায় রাখলে চুল পড়া বন্ধ হয়।
১২. তুলসি পাতার রসের সঙ্গে সম পরিমাণের কাঁচা হলুদের রস এবং দূর্বাঘাসের রস মিশিয়ে, খেলে উপকার পাওয়া যায়।

১৩. কালো তুলসির পাতা বেটে অল্প সেবন দিয়ে ঘা জায়গায় ভাল করে য়ে চুলকি দিনে ২/৩ বার লাগালে দাদ কমে যায়।
১৪. এক চামচ আদার রস সমপরিমাণ তুলসির রস এবং মধু খেলে দীর্ঘ স্থায়ী কাশি কমে যায়।
১৫. নিয়মিতভাবে প্রতিদিন সকালে ৫ গ্রাম তুলসির রস খেলে ধীরে ধীরে ম্যালেরিয়া কমতে সাহায্য করে।

১৬. তুলসি, বেলপাতা এবং নিমপাতা সমপরিমাণে বেটে লাড্ডু বানিয়ে শুকিয়ে রেখে দিতে হয়। বহুমূত্র রোগীরা দিনে ২/৩ বার এ বড়ি খেলে ধীরে ধীরে বহুমূত্র রোগের উপশম হয়।
১৭. এ রোগ আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে তুলসির রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
অনেক গুণে সমৃদ্ধ তুলসি রুচিকারক, বাতনাশক এবং পুরনো জ্বরে মহৌষধির কাজ করে। তুলসি গাছ বিশুদ্ধ বায়– যোগানে সাহায্য করে ও মশার উপদ্রব হতেও মুক্ত থাকা যায়।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরষ্কার (১ম) স্বর্ণপদক প্রাপ্ত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
নাদির ৬ মে, ২০২২, ১২:২০ এএম says : 0
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন