স্টাফ রিপোর্টার : ধুমপানের সাথে সম্পর্কিত সিওপিডি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের প্রায় আট কোটি লোক, মাঝারি বা খারাপ ধরণের সিওপিডি রোগে আক্রান্ত এবং এরমধ্যে প্রায় ত্রিশ লাখ প্রতি বছর এই রোগে মারা যায়, যা মোট মৃত্যুর শতকরা পাঁচভাগ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২০ সাল নাগাদ এই রোগটি হবে বিশ্বব্যাপি মৃত্যুর তৃতীয় বৃহত্তম কারণ এবং এই ক্ষেত্রে এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলি সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে। আর এর মূল কারণই হল ক্রমবর্ধমান ধূমপায়ীর সংখ্যা।
সিওপিডি রোগের ভয়াবহতা কমাতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশব্যাপি বিভিন্ন সচেতনতা ও শিক্ষামূলক কর্মসূূচি হাতে নিয়েছে দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রাজধানীর ইউনাইটেড হসপিটাল আগামীকাল বৃহ¯পতিবার বিশ্ব সিওপিডি দিবস উপলক্ষে হাসপাতালের রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনের জন্য জনসচেতনতা ও শিক্ষামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। যেখানে সিওপিডি রোগের ব্যাপারে অভিজ্ঞ রেসপিরেটরী মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এ রোগের কারণ, উপসর্গ, প্রভাব ও চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করবেন এবং এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য বিনামূল্যে কাউন্সেলিং ও পরামর্শ প্রদান করা হবে। আসন সংখ্যা সীমিত বিধায় উক্ত অনুষ্ঠানে আসন নিশ্চিত করার জন্য পূর্বেই রেজিস্ট্রেশন করার জন্য এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য ০১৯১৪০০১৩৬০ নম্বরে অথবা ০১৯১৪০০১৪০৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে হাসপাতাল থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনগোষ্ঠী সিওপিডি রোগে আক্রান্ত। সিওপিডি তথা ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ বা ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী শ্বাস-প্রশ্বাস বাধাগ্রস্থ রোগে ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস বা দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালীর প্রদাহ হয়। মূলত সিগারেটের ধোঁয়া এবং দূষিত বাতাস শ্বাসের সাথে দীর্ঘদিন নিতে থাকলে শ্বাসনালী কিছুটা স্থায়ীভাবে সরু হওয়া সহ ফুসফুসের বায়ুনালি-গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এটি ফুসফুসের বায়ুপ্রবাহের চলাচলকে বাধাগ্রস্থ করে, ফলে রোগী শ্বাসকষ্ট, কাশিসহ অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় ভোগে। রোগটির ব্যাপকতা সরাসরি ধুমপানের ব্যাপকতার সাথে সম্পর্কিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন