শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সুস্থ জীবনে ফিরছে শিকলবন্দি পাঁচ ভাই-বোন

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বজ্রপুর গ্রামে লবা প্রামানিকের মানসিক ভারসাম্যহীন চার ছেলে-মেয়ে ও সিংসাড়া গ্রামের মন্টু শিকল মুক্ত হয়ে সুস্থ জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন। তাদের পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মানবিক এ কাজটি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকতেখারুল ইসলাম। প্রায় ১০ বছর শিকলবন্দি থাকায় তাদের স্বামী-স্ত্রী, সন্তানরা দাদা-নানা, বাবার বাড়িতে পাড়ি জমিয়েছে। কেউবা আবার বিয়ে করে নতুনভাবে সংসারও শুরু করেছে। নেয়নি অসুস্থ মানুষগুলোর খবর। নিরুপায় বাবা-মা সন্তানের চিকিৎসা ও ভরণ পোষণে হিমশিম খাচ্ছিলেন। গত বছরের ২২ মে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে তাদের বন্দি জীবনের সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের সূত্র ধরে ইউএনও মানসিক ভারসাম্যহীন ৫ জনকে গত বছরের ২৫ মে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

জানা যায়, ব্রজপুর গ্রামের চাল-চুলোহীন ভাঙ্গা টিনের বেড়ার পুরোনো ছাপড়ার কুঁড়ে ঘরে মা-বাবার সাথে দিনাতিপাত করছে চার ভাই-বোন। অপর দিকে সিংসাড়া গ্রামে তালাকপ্রাপ্তা মা জরিনা অসুস্থ মন্টুকে বাড়িতে রেখে ও মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। শারীরিক সক্ষমতা ততোটা না আসলেও দুর্বল শরীর নিয়ে ধীরে ধীরে সাংসারিক কাজকর্মে অংশ নিতে দেখা গেছে তাদের। আর কয়েক মাস নিয়মিত ওষুধ সেবন ও নিয়ম কানুন মেনে চললে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এতো কিছুর মাঝেও যখন গত ২ মে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার নিয়ে ইউএনও তাদের বাড়িতে হাজির হয়েছেন তখন তারা শত যন্ত্রণা ভুলে উৎসবের আনন্দে অনুভব করেছেন। অসুস্থরা জানান, হাসপাতালে ভালো ছিলো। তাদের বন্ধু-বান্ধবী হয়েছিলো এবং একে অন্যের সাথে মজার মজার গল্প ও খেলা করেছে। এখন তারা শরীর ও হাতে-পায়ে শক্তি কম পাচ্ছে বলে জানায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ডাক্তাররা তাদের সবাইকে আর কয়েক মাস ওষুধ ও বিশ্রাম নিতে বলেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন